নীলফামারীতে মৃত্যুর ১২ বছর পর কবর থেকে লাশ উত্তোলন
মোঃ মাসুদ রানা, স্টাফ রিপোর্টার।।
স্বাভাবিক মৃত্যু বলে দাফন, ১২ বছর পর কবর থেকে মরদেহ উত্তোলন করব থেকে মরদেহ উত্তোলন করা হচ্ছে। নীলফামারী জেলার সদর উপজেলায় দীর্ঘ ১২ বছর পর কবর খুঁড়ে হত্যাকাণ্ডের শিকার আবু বকর সিদ্দিকের মরদেহ উত্তোলন করে নমুনা সংগ্রহ করেছে পুলিশ। নিহত আবু বকরের ছেলে অভিযোগ করেন, তার বাবাকে পরিকল্পিতভাবে হত্যা করা হলেও তখন স্বাভাবিক মৃত্যু হিসেবে চালিয়ে দেওয়া হয়েছিল। আদালতের নির্দেশে বৃহস্পতিবার (৩১ জুলাই) দুপুরে উপজেলার রামগঞ্জ বাজারের আকাশকুড়ি গ্রামে এই কার্যক্রম পরিচালিত হয়। মৃত্যুর এক যুগ পর এই ঘটনাকে ঘিরে এলাকায় ব্যাপক চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে। কবর খনন ও নমুনা সংগ্রহ কার্যক্রমে উপস্থিত ছিলেন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট তানজীর ইসলাম, নীলফামারী থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) সজীব সাহা, নিহতের ছেলে লিটন রহমান ও সদর উপজেলা জামায়াতের আমির আবু হানিফা শাহ। পুলিশ জানায়, নিহত আবু বকর সিদ্দিকের ছেলে লিটন রহমান গত বছরের ৩ নভেম্বর নীলফামারী আমলি আদালতে ২০২ জনকে আসামি করে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। মামলায় তিনি অভিযোগ করেন, ২০১৩ সালের ১৪ ডিসেম্বর তার বাবাকে পরিকল্পিতভাবে হত্যা করা হয়। এই ঘটনাটিকে তখন স্বাভাবিক মৃত্যু হিসেবে চালিয়ে দেওয়ার অভিযোগও করেন লিটন। পুলিশ আরও জানান, দেহাবশেষ সংগ্রহের পর সেগুলো রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ফরেনসিক বিভাগে পাঠানো হয়েছে। সংশ্লিষ্টরা আশা করছেন, ফরেনসিক রিপোর্টের ভিত্তিতে মামলার তদন্তে গুরুত্বপূর্ণ অগ্রগতি হবে। নিহত আবু বকর সিদ্দিকের ছেলে লিটন রহমান সাংবাদিকদের বলেন, ‘আমার বাবাকে নির্মমভাবে হত্যা করা হয়েছিল। এই ঘটনার মূল হোতা ছিলেন তৎকালীন সংস্কৃতিবিষয়ক মন্ত্রী আসাদুজ্জামান নুর। আমি দীর্ঘদিন ধরে বিচার চাইছি, আজ কবর খোঁড়ার মাধ্যমে নতুন করে বিচারিক প্রক্রিয়া শুরু হলো। দ্রুত সব আসামিকে গ্রেফতার ও দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করছি। দীর্ঘ ১২ বছর ধরে আমরা ন্যায়বিচারের জন্য অপেক্ষা করছি।’