নীলফামারীতে শিয়ালের কামড়ে শিশুসহ ৬ জন আহত হয়েছেন। বৃহস্পতিবার (২৬ অক্টোবর) সকাল সাড়ে ৮টার দিকে সদর উপজেলার চওড়া বড়গাছা আরাজী দলুয়া এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। পরে শিয়ালের কামড়ে আহতদের চিকিৎসার জন্য নীলফামারী জেনারেল হাসপাতালে নেওয়া হলে গুরুতর আহত তিনজনকে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠিয়েছেন কর্তব্যরত চিকিৎসক। আহতরা হলেন, ওই ওলাকার ফজলার বাবুর স্ত্রী রুবি বেগম (৩২), তার ছেলে ওমর ফারুক (২), মেয়ে মিম আক্তার (৮), হুমায়ুন কবিরের স্ত্রী উর্মি বেগম (২৪), কেনা মাহমুদের ছেলে তায়েবুল ইসলাম (৩৫) ও মজিবরের ছেলে আনিছুর রহমান (৪৫)। স্থানীয় ও প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা যায়, সকালে আনিছুর রহমান বাড়ি পাশে পতিত জমিতে ছাগল বাঁধতে গেলে হঠাৎ পাশের বাঁশঝাড় থেকে একটি শিয়ালে বেরিয়ে আসে। এ সময় শিয়ালটি আনিছুরের ছাগল আক্রমণ করলে ছাগলকে বাঁচাতে তিনি এগিয়ে যান। পরে শিয়ালটি আনিছুরের হাত-পায়ের বিভিন্ন অংশে কামড় দেয়। এসময় আনিছুরের চিৎকারে স্থানীয়রা ছুটে এলে শিয়ালটি পালিয়ে গিয়ে উঠানে খেলতে থাকা শিশু মিম ও ওমর ফারুকের ওপর আক্রমণ করে। পরে তাদের মা রুবি বেগম এগিয়ে এলে তাকেও আক্রমণ করে শিয়ালটি। পাশের বাড়ির উর্মি বেগমকে আক্রমণ করে পালিয়ে যাওয়ার সময় তায়েবুলের ওপর আক্রমণ করে শিয়ালটি। এসময় এলাকাবাসী এগিয়ে এসে তায়েবুলকে রক্ষা করে ও শিয়ালটিকে পিটিয়ে মেরে ফেলে। হাসপাতাল চিকিৎসা নিতে আসা রুবি বেগম বলেন, আমার বাচ্চা দুইটা বাড়ির পাশে খড়ের পালার কাছে খেলছিল। সেসময় শিয়াল এসে তার ওপর আক্রমণ করে। আমি ছেলের চিৎকার শুনে দৌড়ে যাই। শিয়াল আমাকেও কামড় দেয়। চওড়া বড়গাছা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আবুল খায়ের বিটু ঢাকা বলেন, সকালে আমার এলাকায় একটি শিয়াল ছয়জনকে আক্রমণ করে আহত করে। তাদেরকে হাসপাতালে নিয়ে আসা হয়েছে। এর মধ্যে তিনজনকে গুরুতর অবস্থায় চিকিৎসক রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠিয়েছেন চিকিৎসক। আমি সবাইকে সতর্ক থাকার অনুরোধ করছি। কারণ বিভিন্ন সময় ভারতের সীমান্ত আমাদের এলাকা থেকে কাছাকাছি হওয়ায় ভারতের হিংস্র প্রাণীরা আমাদের এলাকায় ঢুকে পড়ছে।