আজ ১২ই এপ্রিল শুক্রবার, চৈত্র মাসের শেষ পুজো এবং আজ নীল পুজো, এই উপলক্ষে পশ্চিম মেদিনীপুরের কেশপুরে কালাসোল ঝাড়েশ্বর মন্দিরে ভক্তদের ভিড় চোখে পড়ার মতো, এই মন্দিরের দেবতা এতটাই জাগ্রত ,
ভক্তরা দূর দুরান্ত থেকে ও পরিবারের লোকজন এই দিন পুজো দিতে আসেন, মন্দিরে পুজো দেওয়ার একটি ঐতিহ্য হলো, তারা কিভাবে লাইন দিয়ে জলের মধ্যে দাঁড়িয়ে থেকে অপেক্ষা করছেন পুজো দেয়ার জন্য।
হিন্দু সংস্কৃতিতে চৈত্র মাস, পূজো পার্বণ কৃচ্ছতাসাধনের মাস, চিত্রা নক্ষত্র যুক্ত পূর্ণিমা মাস হলো চৈত্র মাস, চৈত্র শেষে পুজো পার্বণের মধ্য দিয়ে শিবের আহ্বানকে গাজন বলে , মূলত বঙ্গে মৌলিক শৈব ধর্মের মধ্যে এদেশের একটি প্রাগৈতিহাসিক উৎসব এর ধারা প্রবেশ করেছে, তা গাজন নামে পরিচিত,
উত্তরের মালদাতে নাম্ভিরা গাজনের সঙ্গে যুক্ত চড়ক , ছিরুয়া উৎসব, মুখোশ নাচ গামীরা ইত্যাদি, আর গাজন চরক নীল নানা দিক থেকেই অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ একটি ধর্মীয় সামাজিক উপলক্ষ হিসাবে গন্য হওয়ার অধিকার প্রাপ্ত হয়েছে।
শস্য উৎপাদন সন্তান লাভ শারীরিক নিরাময় এসো গো এই উৎসবের সঙ্গে জড়িত এই উৎসবে আদিম যাদুবিদ্যা আচার ও অবিচার ভয়ংকরতা যাই থাকুক না কেন,
এসময় সমাজের তথাকথিত অন্তর অবহেলিত, এই উৎসব কে কেন্দ্র করে ভোর থেকেই ভক্তদের ঢল নেমে এসেছে পশ্চিম মেদিনীপুরের কানাশোল ঝাড়েশ্বর মন্দিরে, প্রশাসনের তরফ থেকে পুরোপুরি ভাবে নজরদারি চলছে,
যাতে কোনো রকম অঘটন না ঘটে ভক্তরা পুজো দিতে এসে, জলের মধ্যে যে সকল ভক্তরা গলা পর্যন্ত ডুবিয়ে দাঁড়িয়ে আছেন , তাদের দিকে দৃষ্টি আকর্ষণ করছেন,
এদিকে নীল পুজো ও গাজন উপলক্ষে ফল ফুল ও বিভিন্ন উপকরণ এর দাম আগুন,আবার কিছু কিছু জিনিস পাওয়াও মুশকিল হয়ে পড়েছে। যা পাচ্ছেন সেই দিয়েই বাবাকে সন্তুষ্ট করছেন।এবং ভক্তরা একে একে বাবার মাথায়জল ঢেলে মনস্কামনা পূর্করেফিরেযাচ্ছেন।এদিকে নীল পুজো ও গাজন উপলক্ষে ফল ফুল ও বিভিন্ন উপকরণ এর দাম আগুন,আবার কিছু কিছু জিনিস পাওয়াও মুশকিল হয়ে পড়েছে। যা পাচ্ছেন সেই দিয়েই বাবাকে সন্তুষ্ট করছেন।