তারা হলেন জাহিদ হাসান (১৯), আহসান উল্যাহ সাজু (২৬), মেহেদী হাসান (২১), তাদের বাবা আনোয়ার হোসেন (৬৫) ও ভগ্নীপতি ইসমাইল হোসেন (৩৩)।
গ্রেফতারদের রোববার (২৩ এপ্রিল) দুপুরে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। এর আগে শনিবার (২২ এপ্রিল) রাতে নোয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জে রামপুর ইউনিয়নের ৭ নম্বর ওয়ার্ডের আবদুল খালেক মিয়ার বাড়িতে এ হত্যাকাণ্ড ঘটে।
নিহত মো. হোসেন মুছাপুর ইউনিয়নের বাসিন্দা। তিনি বিয়ের পর থেকে শ্বশুর বাড়িতে ঘর তুলে বসবাস করতেন।
রামপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান সিরাজিস সালেকিন রিমন বলেন, বৃদ্ধ হোসেন সহজ-সরল লোক ছিলেন। তার শ্যালকের ছেলে মেহেদী হাসানের শ্বশুরবাড়িতে কটু কথা বলার অভিযোগ তুলে হোসেনের পরিবারকে গালমন্দ করেন মেহেদীর ভাই আহসান উল্যাহ সাজু। পরে রাতে হোসেনের ছেলেদের সঙ্গে মামাতো ভাই মেহেদী, সাজু ও জাহিদসহ তাদের ভগ্নীপতি ইসমাইলের বাকবিতণ্ডা হয়। এসময় হোসেন দুপক্ষের সংঘর্ষ থামাতে গেলে শ্যালকের ছেলে তাকে রড দিয়ে পিটিয়ে আহত করেন। পরে স্থানীয় পল্লী চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
কোম্পানীগঞ্জ থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) পুষ্পবরণ চাকমা বলেন, খবর পেয়ে ঘটনাস্থল থেকে একই পরিবারের পাঁচ অভিযুক্তকে আটক করা হয়। এরপর বৃদ্ধের মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।