নোয়াখালী প্রতিনিধি :
নোয়াখালীর সুবর্ণচরে মো. ইসরাফিল নামের এক চাষির দেড় একর জমির করলা গাছ কেটে ফেলেছে দুর্বৃত্তরা। খবর পেয়ে করলা খেত পরিদর্শন করেন উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ হারুন অর রশিদ।
গতকাল সোমবার রাতে উপজেলার চরজব্বার ইউনিয়নের ৯ নাম্বার ওয়ার্ডের চর পানাউল্ল্যা গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
কৃষক ইসরাফিল চরজব্বার ইউনিয়ন পরিষদের ৯ নাম্বার ওয়ার্ডের রহিদুল ইসলাম এর ছেলে।
আজ মঙ্গলবার সকালে চাষি মো. ইসরাফিল আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘আমার তো শত্রু নাই। কিন্তু করলার সঙ্গে এ কেমন শত্রুতা! দেড় একর জমিতে করলা চাষ করেছি। মাচা দিয়ে দুই-আড়াই হাজার করলা গাছ রোপণ করেছিলাম। সবগুলো গাছে করলা ধরেছিল। সোমবার সন্ধ্যায় বাজারে করলাও বিক্রি করেছি। সবখরচ বাদে ১ লাখ ৬০ হাজার টাকা করলা বিক্রি করেছি। প্রতিদিনের মতো গতকাল সোমবার সন্ধ্যা পর্যন্ত খেতেই ছিলাম। কিন্তু রাতে সব গাছ কেটে ও উপড়ে ফেলে দিয়েছে দুর্বৃত্তরা। আজ সকালে গিয়ে দেখতে পাই খেতের সব করলা গাছ নুয়ে পড়েছে। এরপর দেখি সবগুলো গাছ কেটে নষ্ট করে ফেলা হয়েছে।’
চাষি ইসরাফিল আরও বলেন, ‘আমি গরিব কৃষক। অনেক ধার দেনা করে দেড় একর জমিতে করলা চাষ করেছি। আমার যা পুঁজি ছিল ওই খেতেই লাগিয়েছি। এতে প্রায় ৫-৬ লাখ টাকার ক্ষতি হয়েছে। করলা বিক্রি করে দেনার টাকা পরিশোধ করার কথা ছিল। এখন দেখছি সবই শেষ।’
এ নিয়ে জানতে চাইলে স্থানীয় ইউপি প্যানেল চেয়ারম্যান কাউসার আলী বলেন, ‘কৃষক ফারুক নিজের উপার্জিত সব অর্থ এই জমিতে ব্যয় করেছেন। এখন তাঁর সব শেষ। এ ধরনের ঘটনা এর আগেও এলাকায় ঘটেছে। তাদের খুঁজে বের করে আইনের আওতায় এনে প্রশাসনের কাছে কঠিন শাস্তির দাবি করছি।’
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা হারুন অর রশিদ বলেন, ‘কে বা কারা ফারুকের করলা গাছ কেটে উপড়ে ফেলেছে। ক্ষতিগ্রস্ত কৃষককে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। পাশাপাশি কৃষি বিভাগ থেকে ওই কৃষককে কৃষি প্রণোদনা দিয়ে সহযোগিতা করা হবে।’
এ নিয়ে জানতে চাইলে চরজব্বার থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শাহীন মিয়া বলেন, ‘খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে। তদন্ত করে এ নিয়ে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’