প্রিন্ট এর তারিখঃ ফেব্রুয়ারী ২৮, ২০২৫, ১১:৩১ পি.এম || প্রকাশের তারিখঃ জুলাই ১০, ২০২৩, ৮:৪৭ অপরাহ্ণ
নোয়াখালীর সুবর্ণচরে ১৩৪ টি ভূমিহীন পরিবারের মাঝে প্রায় ১৬০ একর কৃষি খাস জমির খতিয়ান বিতরণ
নোয়াখালীর সুবর্ণচরে ১৩৪ টি ভূমিহীন পরিবারের মাঝে প্রায় ১৬০ একর কৃষি খাস জমির খতিয়ান বিতরণ
নোয়াখালী প্রতিনিধি :মুজাহিদুল ইসলাম সোহেল
নোয়াখালীর সুবর্ণচর উপজেলায় ১৩৪ টি ভূমিহীন পরিবারের মাঝে প্রায় ১৬০ একর কৃষি খাস জমির খতিয়ান বিতরণ করা হয়েছে।
সোমবার বিকেলে উপজেলার জোবায়ের বাজার এলাকায় এ খতিয়ান বিতরণ করা হয়। চর উন্নয়ন ও বসতি স্থাপন প্রকল্প-বি এর উদ্যোগে দক্ষিণ চর মজিদ ও উড়িরচর মৌজার ভূমিহীন পরিবারের মাঝে খাস জমির খতিয়ান বিতরণ করেন জেলা প্রশাসক নোয়াখালী ও চর উন্নয়ন ও বসতি স্থাপন প্রকল্প-বি এর প্রকল্প পরিচালক দেওয়ান মাহবুবুর রহমান।
এসময় উন্নয়ন সহযোগী ইন্টারন্যাশনাল ফান্ড ফর এগ্রিকালচারাল ডেভেলপমেন্ট (ইফাদ) ও রাজকীয় নেদারল্যান্ডস দূতাবাস এর প্রকল্প এলাকা সফররত অতিথিবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
সুবর্ণচর উপজেলার সহকারী কমিশনার (ভূমি) অশোক বিক্রম চাকমার সঞ্চালনায় খতিয়ান বিতরণ অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন উপজেলার উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা চৈতি সর্ববিদ্যা।
অনুষ্ঠান বিশেষ অতিথি ছিলেন, নোয়াখালী জেলার অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) মিল্টন রায়, সুবর্ণচর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান এ.এইচ.এম খায়রুল আনম চৌধুরী, চর উন্নয়ন ও বসতি স্থাপন প্রকল্পের প্রজেক্ট সমন্বয়কারী পরিচালক সাঈদ আহমদ, ইফাদ ইমপ্লিমেন্টেশন সাপোর্ট মিশনের টিম লিডার মিজ মারিয়াল জিমারম্যান, মিশন টিম লিডার ডেভিড ডোলান, টিম লিডার এন্ড্রু জেনকিন্স ও নেদারল্যান্ডস দুতাবাসের প্রতিনিধি নিলজ কেলেন।
প্রধান অতিথি জেলা প্রশাসক দেওয়ান মাহবুবুর রহমান তার বক্তব্যে বলেন, ভূমিহীন পরিবারের মাঝে খাস জমির খতিয়ান বিতরণ এই সরকারের একটি অন্যতম প্রধান অগ্রাধিকার কর্মসূচি। ’বাংলাদেশের কোন মানুষ ভূমিহীন থাকবেনা, বাংলাদেশের কোন মানুষ গৃহহীন থাকবে না’ মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর এ নির্দেশনার আলোকে চর উন্নয়ন ও বসতি স্থাপন প্রকল্প নোয়াখালীর প্রত্যন্ত চর এলাকায় ভূমিহীনদের মাঝে কৃষি খাসজমি বিতরণ কার্যক্রম অব্যাহত রেখেছে। তিনি ভূমিহীনদেরকে বন্দোবস্ত প্রাপ্ত প্রতিখণ্ড খাস জমি যথাযথভাবে ব্যবহার ও চাষাবাদ করে সর্বোচ্চ ফসল উৎপাদনে নিজ পরিবার ও দেশকে স্বনির্ভর করার আহ্বান জানান।
বর্ণাঢ্য এ খতিয়ান বিতরণ অনুষ্ঠানে খতিয়ান গ্রহণ করার জন্য পরিবারগুলোর স্বামী এবং স্ত্রী উভয়েই উপস্থিত ছিলেন। বন্টনকৃত খতিয়ানে স্বামী-স্ত্রীর মালিকানার হার সমান সমান হওয়া ছাড়াও খতিয়ান গুলোতে স্ত্রীর নাম প্রথমে লেখা হওয়ায় তা নারীর ক্ষমতায়নে ইতিবাচক ভূমিকা পালন করছে।
Copyright © 2025 নগর সংবাদ. All rights reserved.