নোয়াখালী প্রতিনিধি :
নোয়াখালীর অত্যন্ত উপজেলা সুবর্ণচর স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে সিজারিয়ান পদ্ধতিতে প্রথম নবজাতকের জন্ম হয়েছে । সুবর্ণচর ও হাতিয়া,সদরের দক্ষিণাঞ্চল ও লক্ষ্মীপুরের রামগতি উপজেলার পূর্বাঞ্চলের প্রায় ৭ লাখ মানুুষ নিয়মিত সেবা নেন সুবর্ণচর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে।
হাসপাতাল প্রতিষ্ঠার দীর্ঘ ৫২ বছর পর নোয়াখালীর সুবর্ণচর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে সিজারিয়ান পদ্ধতিতে প্রথম নবজাতকের জন্ম হয়েছে।
মঙ্গলবার দুপুর ১২ টার দিকে প্রথমবারের মতো এই হাসপাতালে সিজার অপারেশন করা হয়।
জানা যায়, ১৯৭২ সালে সুবর্ণচর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স প্রতিষ্ঠিত হয়। ১৯৯৯ সালে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সটি ৩১ শয্যা হয়। পরবর্তীতে ২০১০ সালে ৩২ থেকে ৫০ শয্যায় উন্নীত হয়ে পূর্ণাঙ্গ স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স চালু হয় । এর চার মাস পর একজন গাইনি কনসালটেন্ট হাসপাতালে নিয়োগ পাওয়ার পরেও নানা জটিলতার কারণে সিজারিয়ান অপারেশনের সুযোগ তৈরি হয়নি। আজ মঙ্গলবার সকালে জেলার সদর উপজেলার এওজবালিয়া ইউনিয়নের চর শুল্লুকিয়া গ্রামের মো সুমনের স্ত্রী রুনা বেগমের (২২) সিজারের মাধ্যমে দীর্ঘ ৫২ বছরের জটিলতা নিরসন করতে সক্ষম হয়েছেন উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের সিনিয়র গাইনি কনসালটেন্ট ও সার্জন ডা. বাসবী রায় ।
সিনিয়র গাইনি কনসালটেন্ট ও সার্জন ডা. বাসবী রায় বলেন, উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডাঃ মোহাম্মদ মিজানুর রহমানের তত্ত্বাবধানে সিজারিয়ান অপারেশনের কাজে সহযোগিতা করেন এনেস্থিসিয়া কনসালটেন্ট ডাঃ, আব্দুল কাদের সজিব শিশু কনসালটেন্ট ডাঃ সোহেল সারওয়ার সিনিয়র স্টাফ নার্স শুভ্রা রায়,ওয়ার্ড ইনচার্জ রুমানা আক্তার,সিনিয়র স্টাফ নার্স ওটি ইনচার্জ। দক্ষ মেডিকেল টীম অপারেশন সফল ভাবে সম্পন্ন করার মাধ্যমে সুমন-রুনা দম্পতির প্রথম পুত্র সন্তানের জন্ম হয়।
উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার-পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. মিজানুর রহমান জানান, হাসপাতালে প্রথমবারের মতো সিজারের মাধ্যমে সন্তান প্রসব হয়েছে। মা ও নবজাতক সুস্থ রয়েছে। এখন থেকে গর্ভবতী মায়েরা প্রয়োজনে নিয়মিত সিজার করতে পারবেন। তিনি বলেন, অত্যন্ত অঞ্চলে সিজারিয়ান পদ্ধতি চালু করা ছিল বড় চ্যালেঞ্জ। সিজারিয়ান পদ্ধতি চালু করতে প্রয়োজনীয় যন্ত্রপাতি যোগান দেওয়া অনেক কষ্টকর তারপরেও আমরা সফল হয়েছি।এখন থেকে নিয়মিত এ ধারা অব্যাহত থাকবে।
এদিকে প্রথমবারের মতো হাসপাতালে সিজারিয়ান পদ্ধতি চালু হওয়ায় হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ, নবজাতক সন্তান ও তার পরিবারকে অভিনন্দন জানিয়েছেন, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ আল আমিন সরকার ও স্থানীয় প্রশাসন, জনপ্রতিনিধি এবং রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দরা।