নগর সংবাদ।।পঞ্চগড়ে প্রেমের প্রস্তাবে রাজি না হওয়ায় এক স্কুলছাত্রীকে (১৫) অপহরণ করার অভিযোগ উঠেছে।
এ ঘটনায় ওই স্কুলছাত্রীর বাবা বাদী হয়ে থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে রিপন ইসলাম (২২) নামে এক যুবককে প্রধান আসামি করে চারজনের নাম উল্লেখ করে মামলা দায়ের করেছেন।
গত মঙ্গলবার (২১ জুন) রিপনকে ঢাকার আশুলিয়া থানা এলাকা থেকে গ্রেফতার করা হয়। পরে বুধবার (২২ জুন) সকালে পঞ্চগড়ে আনার পর আইনি প্রক্রিয়া শেষে দুপুরে আদালতের মাধ্যমে তাকে জেলহাজতে পাঠানো হয়েছে।
আটক অপহরণ মামলার প্রধান আসামি রিপন জেলার বোদা উপজেলার বগদুলঝুলা বড়শসী ডাঙ্গাপাড়া গ্রামের জামাল উদ্দীনের ছেলে। একই মামলার অপর আসামি রিপনের বাবা জামাল উদ্দীন (৪০), রিপনের মা জেসমিন আক্তার (৩৫) ও রিপনের ছোট ভাই রিদয় ইসলাম (২০)।
মামলার এজাহার সূত্রে জানা যায়, দীর্ঘদিন ধরে স্কুলে যাওয়া আসার পথে রিপন ওই স্কুলছাত্রীকে প্রেমের প্রস্তাব দিয়ে বিভিন্নভাবে হয়রানি করে আসছিল। প্রেমের প্রস্তাব প্রতিবারই প্রত্যাখ্যান করতো ওই স্কুলছাত্রী। একপর্যায়ে এ বিষয়ে ওই স্কুলছাত্রী তার বাবাকে জানায়। পরে তার বাবা ওই যুবকের বাড়িতে গিয়ে বিষয়টি অবহিত করেও কোনো প্রতিকার পাননি।
এদিকে গত মঙ্গলবার (৭ জুন) সকালে ভিকটিম বাড়ি থেকে বের হয়ে স্কুলে পরীক্ষা দিতে যায়। এ সময় পথে রিপনদের বাড়ির সামনে দিয়ে যাওয়ার সময় রিপন ছোট ভাই রিদয়ের সহায়তায় তাকে অপহরণ করে নিয়ে পালিয়ে যায়। মেয়ে বাড়িতে ফিরে না আসায় ও স্কুলের সহপাঠীদের মধ্যে জানতে পারে সে স্কুলে যায়নি। পরে ভিকটিমের বাবা রিপনের বাড়িতে গিয়ে খোঁজাখুঁজি করলে বাড়ির সদস্যরা বিয়ের জন্য অপহরণ করেছে বলে মর্মে জানান। এর পর ভিকটিমের বাবা বিভিন্ন দিকে খোঁজাখুঁজি করে মেয়েকে না পেয়ে গত শনিবার (১১ জুন) বোদা থানায় গিয়ে রিপনকে প্রধান আসামি করে চারজনের নাম উল্লেখ করে মামলা দায়ের করে। যাহার মামলা নং- ১১।
বোদা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবু সাঈদ চৌধুরী অপহরণ মামলার ভিকটিমকে উদ্ধার ও আসামিকে গ্রেফতারের বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, অপহরণের পর ভিকটিমকে নিয়ে আসামি ঢাকায় অবস্থান করছিল। গোপন সংবাদের ভিত্তিতে তাদের ঢাকার আশুলিয়া থেকে উদ্ধার করা হয়। পরে বুধবার (২২ জুন) সকালে তাদের থানায় আনা হলে রিপনকে আইনি প্রক্রিয়া শেষে আদালতের মাধ্যমে জেলহাজতে পাঠানো হয়।