তিনি বলেন দুই বছর যাবত করোনায় সমস্ত শিল্পীর জীবন বিপন্ন কোনভাবে বন্দি দশায় তারা এই শিল্প কে বাঁচিয়ে রেখেছে , কিন্তু দেখা গেছে পরিবার চালাতে এবং তার ছেলেমেয়েদের মানুষ করতে এই শিল্প ছেড়ে বিভিন্ন কাজে যোগ দিয়েছে পেটের জ্বালায়, আসতে বন্ধ হতে বসেছে সকল শিল্প, অনেকেই পেটের জ্বালায় কাজ খুঁজতে বাইরে চলে গিয়েছে , এমনকি তার ছেলে মেয়েদের শিল্পের উপর আগ্রহ থাকলেও কিছু উপায় থাকে না। তাই আমরা আজ চেষ্টা করেছি কিছু ছেলে মেয়েদের উৎসাহ দিতে এই ওয়ার্কশপের, বিভিন্ন জেলা থেকে ছোট ছোট ছেলেমেয়েরা এবং চিত্রশিল্পীরা এসেছেন আজকের ওয়াকশপের অংশগ্রহণ করতে । মাটি দিয়ে টেরাকোটার উপর হাতের কাজ তুলে ধরতে, আজ এই ওয়াকসপ এর মাধ্যমে সমস্ত ছেলে মেয়েরা তাদের হাতের কাজ তুলে ধরার চেষ্টা করেছেন,
আমরা তাদের সম্মানিত করার চেষ্টা করেছি একটি করে সার্টিফিকেট হাতে তুলে দিয়ে, আমরাও চাই এরকম ছোট ছোট ছেলে মেয়েরা উঠে আসুক এবং শিল্প জগতকে রক্ষা করুক, এর সাথে সাথে সরকারের কাছেও আমাদের একটাই বার্তা, এই ধরনের শিল্পকে এবং শিল্পীদের পাশে দাঁড়ান, শিল্পীদের উৎসাহিত করু
যাতে শিল্পীরা আপনার সহযোগিতা পেয়ে, নিজেদের চলার পথ তৈরি করতে পারে, এবং নিত্য নতুন হাতের কাজ এইভাবে সবার সামনে তুলে ধরতে পারে, আমরাও শিল্পীদের পাশে আছি এইভাবে সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দেওয়ার চেষ্টা করবো, শুধু টেরাকোটা নয়, সব ধরনের হাতের কাজ যেন আবার সমস্ত শিল্পী তৈরী করে বাজারে ও মেলায় বসতে পারে।।
এই ওয়ার্কসপে উপস্থিত ছিলেন, শিক্ষক, সুমিত কুমার বেরা, অভিজিৎ সরকার, অভিজিৎ মল্লিক, অনির্বাণ কর্মকার, অংকন রায়, প্রদীপ্ত বিশ্বাস, এবং পরিচালক তনময় হালদার সহ সমস্ত ছাত্র-ছাত্রীরা।