গণমাধ্যমে সংবাদ প্রকাশের পর জানতে পেরে আজমেরী ওসমানের নিজস্ব তহবিল থেকে বৃহস্পতিবার রাতে শহরের ডনচেম্বার এলাকায় অবস্থিত সেলিনা মেমোরিয়াল ক্লিনিকে মো.নাছির হোসেন ও ইফতির মাধ্যমে অসুস্থ রুবেলের চিকিৎসা সামগ্রী কিনার জন্য ১০ হাজার টাকা প্রদান করা হয়। ওইসময় তারা রুবেলের খোজ-খবর নেন এবং পাশে থাকার বিষয়ে আশ্বস্ত করেন।
ইতমধ্যে রুবেলের বেশ কয়েকটি টেস্ট সম্পন্ন হয়েছে। চিকিৎসক বলেছে, রুবেলের শারিরীক পুষ্টিহীণতাসহ কিডনি এবং প্রশাবের রাস্তায় ইনফেকশননের সমস্যা রয়েছে। তবে সঠিক চিকিৎসা ও তার সেবা করা গেলে আবারো সুস্থ্য হয়ে উঠবে।
এছাড়া জানা গেছে, রুবেল যে পত্রিকায় কাজ করতো ওই প্রতিষ্ঠানের মালিক কোন খোঁজ খবর নিচ্ছেনা। এমনকি দেখা করতেও আসেনি। রুবেলের বাবা মারা গেছে বহু আগেই। মা ঘর বেধেছে অন্যত্রে। বড় ভাই ছিল সেও মারা গেছে। এক বোন ছিল সেও বিয়ে করে স্বামীর সংসার নিয়েই ব্যস্ত।
দূরসম্পর্কের যারা রয়েছে তাদের কাউকেই এখনো পর্যন্ত পাওয়া যায়নি। তাই এ দুনিয়ায় রুবেলের কেউ না থাকায় তার খাওয়া-দাওয়া সেবা এবং যত্নের দিকে অসহায় পড়েছে রুবেল। সেদিক থেকে ভালো নেই রুবেল। অভিভাবক না থাকায় সরকারী হাসপাতাল থেকে রিলিজ দিলেও মানবিক বিবেচনায় রুবেলের চিকিৎসা সেবায় পাশে দাড়িয়েছে ডনচেম্বার এলাকার সেলিনা মেমোরিয়াল ক্লিনিক।
রুবেলের বিষয় জানতে চাইলে ক্লিনিকের মালিক আলিনুর শরীফ বলেন, রুবেলকে চিকিৎসা সেবায় সহায়তার জন্য অনুরোধ জানায় একজন সাংবাদিক। জেনেছি ছেলেটি পত্রিকা বিলি করে নিজের জীবন চালাতো। সে অসহায় এবং তার কেউ না থাকায় রাস্তা থেকে ইজিবাইকে করে নিয়ে এসেছিল সে সাংবাদিক।
এরপর থেকে তিনিই খাবার থেকে যাবতীয় প্রয়োজনীয় বিষয় দেখে যাচ্ছে। আর আমাকে বলায় আমার সাধ্য মত চেষ্টা করছি। এখন পর্যন্ত চিকিৎসক, নার্স, ওয়ার্ড বয় নির্দেশনা দিয়েছি সকলেই তার যত্ন নিচ্ছে। তবে তার পাশে একজন লোক খুবই জরুরী। যেন তাকে সময় মত খাবার ও ঔষধ দিতে পারে। শারিরীক ও মানসিকভাবে কিছু যত্ন ও সেবা দিতে পারে।