মুন্সিগঞ্জ ট্রাফিক পুলিশের ইন্সপেক্টর (টিআই) বজলুর রহমান বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি জানান, দণ্ডিতদের বেশিরভাগই অহেতুক ঘোরাঘুরি করার জন্য সেতুতে এসেছিলেন।
পুলিশ জানায়, সেতুতে কোনোভাবেই না দাঁড়ানো কিংবা ছবি তোলা এবং নির্ধারিত লেন ক্রস না করাসহ বেশকিছু নির্দেশনা ছিলো। রোববার ঈদের দ্বিতীয় দিন প্রচুর সংখ্যক মোটরসাইকেল আরোহী সেতু দিয়ে পারা হন। ৯৫ শতাংশ মোটরসাইকেল আরোহী নিয়ম মানলেও অনেকে শৃঙ্খলা বঝায় রাখছিলেন না। এসব বিষয় তদারকিতে সকাল থেকে অভিযান চলছিল। এসময় নিয়ম না মেনে সেতুর বিভিন্ন স্থানে মোটরসাইকেল থামিয়ে ছবি তোলা, নির্ধারিত লেন ক্রস করে অন্য লেনে চলা, ওভারটেকিংয়ের চিত্র দেখা যায়। এসব অপরাধে তাদের আটক করে জরিমানা করা হয়।
ঈদুল ফিতর উপলক্ষে ১৮ এপ্রিল অনুষ্ঠিত একনেক সভায় পদ্মা সেতুতে মোটরসাইকেল চলাচলে নির্দেশ দেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তবে গতি সর্বোচ্চ ৬০ কিলোমিটার, সেতুর ওপর গাড়ি থামিয়ে ছবি তোলা, কোনো অবস্থাতেই লেন পরিবর্তন না করাসহ বেশকিছু শর্ত জুড়ে দেওয়া হয়। ২০ এপ্রিল থেকে পদ্মা সেতু দিয়ে মোটরসাইকল চলাচল শুরু হয়। তবে শর্ত মানছেন না অনেকেই।