প্রিন্ট এর তারিখঃ ডিসেম্বর ৫, ২০২৪, ১:২৪ এ.এম || প্রকাশের তারিখঃ ফেব্রুয়ারি ৮, ২০২৪, ১০:২৫ অপরাহ্ণ
পবিত্র শবে মেরাজ রাতে মহানবী (সা.) জান্নাত, জাহান্নামসহ সৃষ্টির বিভিন্ন রহস্য প্রত্যক্ষ করেন
পবিত্র শবে মেরাজ রাতে মহানবী (সা.) জান্নাত, জাহান্নামসহ সৃষ্টির বিভিন্ন রহস্য প্রত্যক্ষ করেন
পবিত্র শবে মেরাজ আজ। ফারসিতে শব শব্দের অর্থ রাত এবং আরবিতে মেরাজের অর্থ ঊর্ধ্বগমন। রজব মাসের ২৬ তারিখের রাতটি মুসলিমদের কাছে অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ। অন্যান্য মুসলিম দেশের মতো বাংলাদেশের ধর্মপ্রাণ মুসলমানরা মহিমান্বিত রাতটি ইবাদতে কাটিয়ে থাকেন। আল্লাহর সন্তুষ্টি অর্জনে এই রাতে তারা পবিত্র কুরআন তিলাওয়াত, নফল নামাজ আদায়, জিকির-আজকার, দোয়া-দরুদ ও ইবাদত-বন্দেগি পালন করবেন। শবে মেরাজের গুরুত্ব ও তাৎপর্য নিয়ে ইসলামিক ফাউন্ডেশন আজ বৃহস্পতিবার বাদ জোহর জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকাররমে আলোচনাসভা ও দোয়ার আয়োজন হয়েছে। ইসলামের নবী মুহাম্মদ (সা.)-এর অলৌকিক ও ঐতিহাসিক ঘটনার স্মারক দিবস হিসেবে মুসলিম বিশ্বে তা পালিত হয়।
এ রাতে মহানবী (সা.) সাত আসমান পেরিয়ে মহান আল্লাহর সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন এবং মুসলিমদের জন্য পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ নিয়ে ফেরেন। নবুয়ত লাভের ১১তম বছর (৬২১ খ্রিস্টাব্দ) হজরত মুহাম্মদ (সা.)-এর জন্য দুঃখ ও শোকের বছর ছিল। এ সময় তিনি তার কঠিন সময়ের দুজন প্রিয় ব্যক্তি স্ত্রী খাদিজা (রা.) এবং চাচা আবু তালেবকে হারিয়েছেন। তা ছাড়া ইসলামের দাওয়াত নিয়ে তায়েফ গেলে সেখান থেকেও আশাহত হয়ে ফেরেন। এরপর মহান আল্লাহ ইসরা ও মেরাজের মাধ্যমে প্রিয় রাসুলকে বিশেষভাবে সম্মানিত করেন। সেদিন রাতে মহানবী (সা.) মক্কার মসজিদুল হারাম থেকে জিবরাইল (আ.)-এর সঙ্গে বোরাক নামের বিশেষ বাহনে করে বাইতুল মুকাদ্দাসে যান। সেখানে নবী-রাসুলদের সঙ্গে দুই রাকাত নামাজ পড়ে তিনি সাত আসমান অতিক্রম করেন। সেখানে তাঁর সঙ্গে বিভিন্ন নবীর দেখা হয়।
সিদরাতুল মুনতাহার আগ পর্যন্ত তাঁর সঙ্গে ছিলেন জিবরাইল (আ.)। এরপর মহানবী (সা.) জান্নাত, জাহান্নামসহ সৃষ্টির বিভিন্ন রহস্য প্রত্যক্ষ করেন। ফেরার সময় মহান আল্লাহর পক্ষ থেকে তিনি নিজ উম্মতের জন্য পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ উপহার নিয়ে আসেন। পবিত্র কোরআন ও হাদিসে এই ঘটনার বিস্তারিত বিবরণ এসেছে। ইরশাদ হয়েছে, ‘পবিত্র ও মহিমাময় তিনি যিনি তাঁর বান্দাকে রাতে মসজিদুল হারাম থেকে মসজিদুল আকসা ভ্রমণ করিয়েছেন, যার আশপাশ আমি বরকতময় করেছি, তাকে আমার নিদর্শন দেখানোর জন্য, তিনি সর্বশ্রোতা সর্বদ্রষ্টা। ’ (সুরা : বনি ইসরাইল, আয়াত : ১)
Copyright © 2024 নগর সংবাদ. All rights reserved.