নগর সংবাদ।। পরিবহন শ্রমিকদের ত্রাণ বিতরণের সময় বলেন: আপনাদের ঘরে ঘরে গিয়ে পৌছে দেয়া উচিৎ ছিল-শামীম ওসমান ;নারায়ণগঞ্জ-৪ আসনের সাংসদ শামীম ওসমান বলেছেন, আমি আপনাদের কাছে হাতজোড় করে ক্ষমা চাচ্ছি। আল্লারয়াস্তে আপনারা আমাদেরকে ক্ষমা করে দিবেন। মাপ চাই আপনাদের কাছে। জাতির পিতার কণ্যার পক্ষ থেকে সামান্য কিছু উপহার দেয়ার জন্য যদিও আমাদের উচিৎ ছিল আপনাদের ঘরে ঘরে গিয়ে পৌছে দেয়া। কিন্তু আপনারা জানেন যে শুধু আপনারা না, আপনাদের মতো আরও অনেক শ্রেণির পেশার মানুষ আছে, যাদের কাছে এই উপহার পৌছে দেয়ার দায়িত্ব দেয়া হয়েছে। এবং গতকাল (১৩ জুলাই) প্রায় ২ হাজার ২০০ কোটি টাকা যারা খেটে খাওয়া মানুষ তাদের জন্য বরাদ্দ করেছেন। বুধবার (১৪ জুলাই) বিকালে নারায়ণগঞ্জ সদর উপজেলায় পরিবহন শ্রমিকদের মধ্যে সরকারের দেওয়া ত্রাণ বিতরণের সময় শ্রমিকদের উদ্দেশ্য করে তিনি এসব কথা বলেন। তিনি আরও বলেন, আপনারা মনে করছেন আমরা আপনাদের জন্য অনেক কিছু করে ফেলছি, আসলে তা না। আমরা একটা কথা বলতে চাই আপনারা যে আমাদের কতবড় উপকার করছেন তা আপনাদের কল্পনার বাইরে। আপনারা এই উপহার নিয়ে আমাদের সওয়াব কামানোর সুযোগ করে দিয়েছেন। তাই আমি আপনাদের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানাই, ধন্যবাদ জানাই। শামীম ওসমান বলেন, সারা বাংলাদেশের লক্ষ লক্ষ মানুষ অভাবে আছেন। বিশেষত নিন্মবিত্ত ও মধ্যবিত্ত পরিবারগুলি, শুধু আপনারা নন। সকলেই সমস্যায় পড়েছেন। আল্লাহ দুনিয়াতে এই আজাব দিয়েছেন। এই আজাবের সাথে তো আমাদের কিছু করার নাই। একটাই পথ আছে আল্লাহর কাছে মাপ চাওয়া। আমার মনে হয় যে আমরা ঠিকমত মাপ চাইতে পারছি না। আমার বিশ্বাস আমরা যদি আল্লাহর কাছে মন থেকে ক্ষমা চাই, কান্নাকাটি করি। তাহলে হয়তো আল্লাহ আমাদের ক্ষমা করে দিবেন। যারা খেটে খওয়া মানুষ আল্লাহ তাদের দোয়া কবুল করেন। আমি আপনাদের কাছে দোয়া ভিক্ষা চাই মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার জন্য। আমরা ছোট একটা দেশ, সতেরো কোটি মানুষ। দেড় বছর হয়ে গেছে। তিনি এখনও চেষ্টা করছেন মানুষ যেন ভাল থাকে। পরিবহন শ্রমিকদের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, আপনাদের কাছে অনুরোধ থাকবে, আপনি থাকলে আপনার বাচ্চারা আপনার বাচ্চা হয়তো খেয়ে না খেয়ে থাকবে হলেও কিছুটা ভাল থাকবে। হায়াত মৌতের মালিক আল্লাহ। কিন্তু অসুস্থ থাকা না থাকটা আপনার আমার উপর নির্ভন করে। যদি মাস্ক পড়ে একটু দুরুত্ব রেখে হাত ধুরে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলেন তাহলে হয়তো এই করোনা থেকে নিজেকে সুরক্ষা রাখতে পারবেন। আর আমরা সবাই যদি এই নিয়ম মেনে চলি তাহলে আল্লাহ আমাদের দয়া করে বাঁচিয়ে রাখতে পারেন। আর যদি মৃত্যু থাকে তাহলে মৃত্যু হবে। আপনি যদি মরে যান আপনার বাচ্চাদেরকে দেখবে? এই কথাটা চিন্তা করে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলেন. নিজেকে রক্ষা করেন অন্যকে মানার জন্য পরামর্শ দেন। শামীম ওসমান দু:খ করে বলেন, আমি আমার স্ত্রীকে নিয়ে অসুস্থ শ্বশুরকে দেখতে আমেরিকা গিয়েছিলাম। কালকে শুনলাম আবার অবস্থা খারাপ। কয়েকদিন আমি ছিলাম না নারায়ণগঞ্জে। এরই মধ্যে নারায়ণগঞ্জের কয়েকটি মিডিয়া আমাকে নিয়ে অনেক উল্টাপাল্টা কথা লিখল। তিনি বলেন, আমি ছাড়াও মানুষ আছে সমাধান করার। সিদ্ধিরগঞ্জ সিটি করপোরেশনের মধ্যে পড়ে।তাদের সমাধান করা উচিত ছিল। কথা বলে অনেকে উদ্যোগ নেয় না। আল্লাহর ঘর মসজিদের উদ্বোধন করতে গিয়ে মানুষের নামে গীবত করে। আল্লাহ সবচেয়ে অপছন্দ করেন গীবত করাকে। আমাদের আওয়ামী লীগের নেতৃবৃন্দ অনেক এলাকায় নিজ পকেটের টাকা খরচ করে পানি অপসারণের কাজ করেছে। সেনাবাহিনী, পানিসম্পদ মন্ত্রণালয়, ডিসি, ইউএনও সকলে কাজ করছে। আজকে বেশিরভাগ এলাকার মানুষ পানি থেকে মুক্ত। আমি আশাকরি এখানকার ও পাগলার খালদুটো চালু হয়ে গেলে পানি আগামী একদিনের মধ্যে চলে যাবে। এসময় উপস্থিত ছিলেন, সদর উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা আরিফা জহুরা, সদর উপজেলার চেয়ারম্যান আবুল কালাম আজাদ বিশ্বাস, বক্তাবলি ইউয়িনের চেয়ারম্যান ও ফতুল্লা থানা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক শওকত আলী, মহানগর আওয়ামীলীগের যুগ্ন সাধারণ সম্পাদক শাহ নিজাম, মহানগর যুবলীগের সভাপতি শাহাদাত হোসেন সাজনু, জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি এহসানুল হাসান নিপু প্রমুখ।