পরিবার আবেদন করলে দুই মামলায় দণ্ডিত বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার মুক্ত থাকার মেয়াদ সরকার ফের বাড়াবে বলে জানিয়েছেন আইনমন্ত্রী আনিসুল হক।
শনিবার (১০ সেপ্টেম্বর) যুগ্ম জেলা ও দায়রা জজ এবং সমপর্যায়ের বিচারকদের জন্য আয়োজিত ১৪৭তম রিফ্রেসার কোর্সের উদ্বোধন অনুষ্ঠান শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এ তথ্য জানিয়েছেন।
চলতি মাসের শেষের দিকে খালেদা জিয়ার মুক্ত থাকার মেয়াদ শেষ হবে। সরকার এ মুক্ত থাকার মেয়াদ বাড়াবে কিনা জানতে চাইলে সাংবাদিকদের আইনমন্ত্রী আনিসুল হক বলেন, ওনারা (পরিবার) বাড়াতে চান কিনা সেটা তাদের ওপর নির্ভর করবে। যদি ওনারা এটার মেয়াদ বাড়াতে চান, আমি এতটুকু বলতে পারি; অবশ্যই সরকার এটার মেয়াদ বাড়াবে।
দুর্নীতির দুই মামলায় ১৭ বছরের দণ্ডিত সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়া ২০১৮ সালের ৮ ফেব্রুয়ারি থেকে কারাবন্দী ছিলেন। এর মধ্যে শারীরিক অবস্থার অবনতি হলে তাকে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বিএসএমএমইউ) হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। তিনি সেখানেই ভর্তি ছিলেন।
পরবর্তীতে ২০২০ সালের ২৫ মার্চ তার শারীরিক অবস্থা বিবেচনায় নিয়ে পরিবারের সদস্যদের আবেদনে সাজা ছয় মাসের জন্য স্থগিত করা হয়। এ সময় তাকে সাময়িক মুক্তি দেয় সরকার। এরপর খালেদা জিয়া রাজধানীর গুলশান অ্যাভিনিউয়ের নিজের বাসভবন ফিরোজায় যান। মেয়াদ শেষ হওয়ার পর ফের মেয়াদ বাড়ানো হয়। এর মধ্যে খালেদা জিয়া করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হওয়ার পর চিকিৎসার জন্য হাসপাতালে ভর্তি হন। বর্তমানে তিনি হাসপাতালের সিসিইউতে চিকিৎসাধীন।
গত ২৪ মার্চ মেয়াদ শেষ হওয়ার আগেই পরিবারের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে আরও ছয় মাসের জন্য মুক্ত থাকার মেয়াদ বাড়ানো হয়।
প্রতিবার একই শর্তে তাকে কারাগারের বাইরে থাকার অনুমতি দেওয়া হয়েছে। শর্ত অনুযায়ী, মুক্ত থাকা অবস্থায় খালেদা জিয়া বিদেশে যেতে পারবেন না।