পরীমণিকে জামিন দেওয়া হয়নি।পাঠানো হয়েছে কারা’গারে।পরীমণির মাম’লার প্রধান আইনজীবী মুজিবর রহমানের দলের আট’ সদস্য নিয়ে পরীমণির পক্ষে লড়ছেন। আজ চাওয়া হয়েছিল নায়িকার জামিন।
পরীমণির অ’পরাধ প্রমাণ হওয়ার আগেই বাংলাদেশ চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির সদস্যপদ স্থগিত করে মূলত শিল্পীদের সংগঠনটি পরীমণির বিপক্ষে অবস্থান নিয়েছে। তবে এই সংগঠনের আরেক সদস্য চিত্রনায়ক আমান পেশাগত কারণে পরীমণির পক্ষে লড়ছেন।
এ বি’ষয়ে আমান বলেন, প্রথমত এটা আমা’র ইমানি দায়িত্ব। আমি বাধ্য। আমা’র দায়িত্ব আমি পালনে যথাসাধ্য চে’ষ্টা করছি। আর সহকর্মীর পক্ষে লড়াটা একটা আনন্দের বি’ষয়। মানে এক ধরনের ভালো লাগা তো কাজ করেই। প্রথম দিনের শুনানিতে ছিলাম না, একটু ঢাকার বাইরে যেতে হয়েছিল। আজ উপস্থিত ছিলাম। এর আগে চলচ্চিত্রের কয়েকটি বি’ষয়ে আইনি লড়াইয়ে শামিল ছিলেন জানালেন এই অ’ভিনেতা ও আইনজীবী।
আগে সর্দার সানিয়াত, অনন্য মামুন, লামিয়া মিমো, লিনা, ফখরুল আরেফিন খানের আইনজীবী হিসেবে কাজ করেছেন আমান রেজা। এছাড়াও লাইভ টেকনোলজি’র আইনি পরামর’্শক ও আইনজীবী হিসেবে নিযুক্ত রয়েছেন।
পরীমণির জামিন পাওয়া না পাওয়া প্রসঙ্গে আমান বলেন, ‘তিনি যদি দোষী না হন তাহলে জামিন আজ হোক কাল হোক পাবেনই। আমর’া আমা’দের আইনি প্রক্রিয়া যথার্থভাবে চালিয়ে যাচ্ছি।’
আমান রেজা চলচ্চিত্রে এসেছেন অনেকটা হঠাৎ করেই। ২০০৮ সালে পল্টনের এক স্টুডিওতে ফটোগ্রাফার এল কে লিটনের সাথে পরিচয়ের সূত্র ধরে প্রযোজক গো’লাম মোরশেদের সাথে পরিচয় হয়। তারপর পরিচালক হাফিজ উদ্দিনের ছবি ‘সেই তুফান’ এ অ’ভিনয়ের মাধ্যমে চলচ্চিত্রে যাত্রা শুরু করেন। প্রথম অ’ভিনীত চলচ্চিত্র সেই তুফান হলেও মুক্তিপ্রা’প্ত প্রথম ছবি রেজা লতিফের ‘ভালোবাসার শেষ নেই।
আমান ইউনিভার্সিটি অব লন্ডন থেকে এলএলবি ডিগ্রি গ্রহণ করেছেন। বাংলাদেশে ওয়ার্ল্ড ইউনিভার্সিটিতে এলএলএম পড়েছেন। মালয়েশিয়ায় তার নিজস্ব ব্যবসা রয়েছে, দেশে আইন ব্যবসায়েও নিজেকে জড়িত করতে আগ্রহী তিনি।