আজ ১১ ই আগস্ট শুক্রবার , দুপুর দুটোই কলকাতা প্রেসক্লাবে বেশ কয়েকজন বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাক্তন প্রফেসর এর উপস্থিতিতে, এই প্রিন্স কনফারেন্স করেন, 31 টি পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের সংকট ও নানা রকম দুর্নীতি যেভাবে বেড়ে চলেছে এবং কোন বিশ্ববিদ্যালয় ভাইস চ্যান্সেলর না থাকায় সেই সকল বিশ্ববিদ্যালয় গুলি প্রায় অচল হয়ে পড়ার মতো সেই সকল যুক্তিকে সামনে রেখেই আজকের এই আলোচনা এবং একটি চিঠি রাষ্ট্রপতির উদ্দেশ্যে দেওয়া ও ও রিসেন্ট যাদবপুরে একটি ছাত্রের মর্মান্তিক কাহিনী নিয়ে তারা তীব্র প্রতিবাদ করলেন,
এবং প্রত্যেক বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাইস চ্যান্সেলরদের মনে যে ক্ষোভ সেটা আজ প্রকাশ্যে আসলো। উপস্থিত ছিলেন, প্রফেসর ওম প্রকাশ মিশ্র, যাদবপুর ইউনিভার্সিটি। প্রফেসর রঞ্জন চক্রবর্তী এক্স ভাইস চ্যান্সেলার বিদ্যাসাগর বিশ্ববিদ্যালয় ,। প্রফেসর আশুতোষ ঘোষ এক্স ভাইস চ্যান্সেলর ক্যালকাটা ইউনিভার্সিটি, । প্রফেসর দেব নারায়ন বন্দ্যোপাধ্যায় এক্স ভাইস চ্যান্সেলর বাঁকুড়া ইউনিভার্সিটি সহ অন্যান্য প্রফেসরেরা, উপস্থিত মঞ্চে যে সকল প্রফেসরেরা ছিলেন তারা সংক্ষিপ্ত বক্তৃতার মধ্য দিয়ে বলেন ,
দিনের পর দিন বিশ্ববিদ্যালয় গুলোতে কোন নতুন ভাইস চান্সেলার নিয়োগ করা হচ্ছে না, সমস্ত বিশ্ববিদ্যালয়ে পথগুলি খালি পড়ে আছে, এমনকি ছাত্র সংখ্যাও দিনের পর দিন কমে যাচ্ছে ,কারণ একটাই, আমরা বেশ কিছু ছেলে মেয়ের বাবা-মায়ের কাছে জানতে চেয়েছি, কেন তারা প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয় ছেলে মেয়েদের ভর্তি করছেন।, তার সদত্তরে বেশ কয়েকজনের বাবা মা বলেন, কি করবঝ সরকারি বিশ্ববিদ্যালয় গুলোতে যেভাবে পড়াশোনা চলছে এবং পরীক্ষা দেওয়ার ব্যবস্থাও পরিকাঠামো ভেঙে পড়েছে ,ছেলে মেয়েরা কবে পরীক্ষা দেবে, কি করবে, তা আমরা আজও বুঝতে পারি না ,আদৌ পরীক্ষা হবে কিনা, কোন নিশ্চয়তা নাই, তাই কষ্টকর হলেও ছেলেদের ভবিষ্যতের জন্য আমাদেরকে বাধ্য হতে হয়, প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয় ছেলেমেয়েদের ভর্তি করতে, এছাড়াও বলেন যেভাবে বিশ্ববিদ্যালয় গুলিতে রাজনীতি পরিকাঠামো তৈরি হয়েছে সেখানে পড়াশোনা ছেলে-মেয়েদের হওয়াটা অনিশ্চয়তা,
এর সাথে সাথে মঞ্চে উপস্থিত প্রফেসররা চ্যালেঞ্জের সাথে জানালেন শুধু কিছু ভুলের জন্য এবং বিশ্ববিদ্যালয়গুলির পরিকাঠামো ঠিকমতো নির্ধারণ না করার জন্য, আজ বিশ্ববিদ্যালয়গুলির এরকম হাল হয়েছে শুধু তাই নয় বিশ্ববিদ্যালয়ের আবাসন গুলির পর্যন্ত রাজনীতি দখলে চলে গিয়েছে, যারা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাথে যুক্ত নয় পড়াশুনা শেষ হয়ে গেছে তারাও সব কিছু দখল করে বসে আছে আমরা চ্যালেঞ্জের সাথে তাই জানাই, অবিলম্বে এই সকল দুর্নীতি মুক্ত হোক এবং বিশ্ববিদ্যালয় গুলিকে সুন্দরভাবে গঠন করা হোক এবং প্রতিটি বিশ্ববিদ্যালয় প্রফেসর থেকে শুরু করে যে সকল পথ খালি আছে শূন্যপদ পূরণ করা হোক, এছাড়াও বিশ্ববিদ্যালয় কিছু প্রফেসর ইনচার্জ গুলি আবিষ্কার করা হয়েছে এবং তারা উপচার্য অবসরপ্রাপ্ত বিচারকগণের ফাংশন সম্পাদন করার জন্য অনুমোদিত হচ্ছে এবং পুলিশ কর্মকর্তাদের উপাচার্য হিসাবে অনুমোদিত করা হচ্ছে
এই সকল আমরা কখনোই মেনে নিতে পারি না এবং যার ফলে আমরা মাঝে মাঝে প্রেস কনফারেন্স এর মাধ্যমে সবার কাছে তুলে ধরতে চাই এবং প্রতিবাদ করতে চাই। এর সাথে সাথে সংবাদ মাধ্যম কেউ বললেন ,আপনারা যদি মনে করেন আমরা এগুলো ভুল বলছি, আপনারা একবার যাচাই করে দেখুন, বিশ্ববিদ্যালয় গুলোতে, কি ঘটছে, কি অবস্থা ,কি চলছে, কেন আজ প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয় গুলি রমিয়ে চলছে, কেন বিশ্ববিদ্যালয় এরকম ধরনের একটি ঘটনা ঘটে গেল, কেন সরকারি বিশ্ববিদ্যালয় গুলিতে ভাইস চ্যান্সেলার নায় বিগত কয়েক বছর ধরে, আপনারা খোঁজ নিন। দেখুন আমরা ঠিক বলছি কি ভুল বলছি। বেশ কয়েকটি বিশ্ববিদ্যালয়ের নাম তারা সংবাদ মাধ্যমকে জানালেন, এবং বললেন কেন এই বিশ্ববিদ্যালয় গুলিতে তারা যাননি খোঁজখবর নিতে।