শনিবার ১৭ই মে, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ রাত ৪:৪৯
শিরোনামঃ
Logo জনগণের নিরাপত্তা ও সেবা প্রদানে সর্বোচ্চ পেশাদারিত্বের সঙ্গে কাজ করতে হবে-ডিএমপি কমিশনার Logo সুবর্ণচরে খাল দখলমুক্ত করতে প্রশাসনের অভিযান, ২৬টি অবৈধ দোকান উচ্ছেদ Logo ১৫ বছরে আওয়ামী লীগের দুঃশাসনের মূল সহযাত্রী জাতীয় পার্টিসহ ১৪ দলের রাজনীতি নিষিদ্ধ ও নিবন্ধন বাতিলের দাবি-সামাজিক-রাজনৈতিক সংগঠনের জোট জুলাই ঐক্যের নেতারা। Logo ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে দুর্বৃত্তের ছুরিকাঘাতে এক শিক্ষার্থী নিহত Logo যমুনায় ইলেকট্রনিক শর্ট দিয়ে মাছ শিকার করায় চৌহালীতে ৭জেলেকে অর্থদন্ড। Logo নীলফামারী রিপোর্টার্স ক্লাবের সাথে জেলা প্রশাসক ও পুলিশ সুপারের শুভেচ্ছা বিনিময় Logo সাবেক সংসদ সদস্য (এমপি) কণ্ঠশিল্পী মমতাজ বেগম গ্রেফতার Logo নারায়নগন্জ সিদ্ধিরগঞ্জে সিএনএন বাংলা টিভির এমডির গাড়ী থেকে দেশীয় অস্ত্র ও মাদক উদ্ধার, আটক-১ Logo বন্ধুদল স্পোর্টিং ক্লাবের উদ্যোগে, দ্বাদশ তম বর্ষে পদার্পণ করলো, সপ্তকন্যার শুভ বিবাহ । Logo ২৪ ঘণ্টায় সারা দেশে পুলিশের বিশেষ অভিযানে মামলা ও পরোয়ানাভুক্ত আরও ৯৯৬ জন গ্রেফতার

পাকা রশিদ ছাড়া পণ্য বেচা-কেনা নয় ১০ মার্চ থেকে

nagarsangbad24
  • প্রকাশিত: মার্চ, ৯, ২০২২, ১:৪৫ পূর্বাহ্ণ
  • ১৬১ ০৯ বার দেখা হয়েছে

  1. নগর সংবাদ।।পাকা রশিদ ছাড়া পণ্য বেচা-কেনা নয় ১০ মার্চ থেকে ,

: বৃহস্পতিবার (১০ মার্চ) থেকে কোনো স্তরেই পাকা রশিদ ছাড়া পণ্য বেচা কেনা করা যাবে না বলে জানিয়েছেন ভোক্তা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ও বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব এএইচএম সফিকুজ্জামান।

মঙ্গলবার (৮ মার্চ) জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের সম্মেলন কক্ষে ঢাকার পাইকারি ও খুচরা দোকানি ও ব্যবসায়ী সমিতির নেতাদের নিয়ে বৈঠক শেষে এ কথা জানান তিনি।

বৈঠকে মিলারদের কোনো প্রতিনিধি উপস্থিত না থাকায় বুধবার তাদের উপস্থিতিতে আরেক দফা আলোচনার সিদ্ধান্ত হয়েছে।
সফিকুজ্জামান বলেন, খুচরা দোকানিরা বলে ডিলাররা দাম বাড়িয়ে দেয়। আবার ডিলারদের কাছে গেলে তারা বলে- মিল থেকে রেসনিং করে দেওয়া হচ্ছে। যে পরিমাণ ডিও বা এসও (সাপ্লাই অর্ডার) নেওয়া হচ্ছে সেই পরিমাণ পণ্য সময় মতো দেওয়া হচ্ছে না। এখানে একটা ব্লেইম গেম চলছে। খুচরা বলছে পাইকারি, পাইকারি বলছে ডিলাররা, আর ডিলাররা বলছে মিলারদের কথা।

তিনি বলেন, আমাদের কাছে সব ধরনের গোয়েন্দা তথ্য আছে। কিন্তু এই মুহূর্তে যে পরিমাণ তেল আছে তাতে রোজা পর্যন্ত দাম বাড়ানোর সুযোগ নেই। কিন্তু বাজারে গল্প ছড়ানো হচ্ছে ‘স্টকে সমস্যা’। যুদ্ধ লেগেছে সেই ইউক্রেনে, সেটার গরম এখন বাজারে নিয়ে আসার চেষ্টা চলছে। টোটাললি তারা সুযোগ নেওয়ার চেষ্টা করছে। আমরা এটা হতে দেব না।

তিনি আরও বলেন, কোনা একটা জায়গায় ঘাপলা হচ্ছে সেটা কিন্তু পরিষ্কার। ডিও নিয়ে বড় ধরনের একটা কাগজবিক্রির খেলা চলছে। তেলের বাজার গরম। তাই অনেকেই তেল নিয়ে তেলেসমতি খেলায় নেমেছেন। পাকা রশিদ থাকতে হবে বৃহস্পতিবারের মধ্যে। রশিদ ছাড়া মালামাল কিনলে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের কর্মকর্তা মনজুর মোহাম্মদ শাহরিয়ার বলেন, দোকানিদের কাছে কোনো পাকা রশিদ থাকছে না। খুচরায় ধরছি, তারা বলছে পাইকারি বাজার থেকে বেশি দামে কিনেছে। পাইকারের কাছে গেলে সে বলছে ডিলাররা বেশি দামে বিক্রি করছে। ডিলাররা বলছে মিলাররা বেশি দাম নিচ্ছে। কিন্তু আমরা পাকা ভাউচার পাইনি। বাজারে আমরা বেশি বেশি যাচ্ছি। আমরা কিন্তু ভালো ব্যবসায়ীদেরকে ডিস্টার্ব করতে যাচ্ছি না। সুনির্দিষ্ট তথ্যের ভিত্তিতে অসাধু ব্যবসায়ীদের বিরুদ্ধে যাচ্ছি। সবকিছুর উদ্দেশ্য হচ্ছে যৌক্তিক দামে যেন বাজার চলে।

বৈঠকে উপস্থিত কয়েকজন মুদি দোকানি অভিযোগ করেন, পুরান ঢাকার মৌলভীবাজারের ব্যবসায়ীরা তাদের কাছে সয়াবিন তেল প্রতি লিটার ১৪৭ থেকে ১৫০ টাকায় বিক্রি করছেন। এজন্য তারা কোনো রশিদও দিচ্ছেন না।

এ সময় মৌলভীবাজার ব্যবসায়ী সমিতির সাধারণ সম্পাদক আজমল হোসেন বাবুল বলেন, ডিলাররা দিনের পর দিন মিল গেটে অপেক্ষায় থেকেও তেল বুঝে পাচ্ছেন না। মিল থেকে কারসাজি করে দাম বাড়ানো হচ্ছে। এ কারণেই ডিলাররা বেশি দামে বিক্রি করতে বাধ্য হচ্ছেন। এখন দোকান মালিক সমিতি, মৌলভীবাজার ব্যবসায়ী সমিতির প্রতিনিধি নিয়ে একটা কমিটি করে দেন। সেই কমিটি মিল গেটে পাহারায় থাকুক, আবার পাইকারি বাজারেও থাকুক। আমরা দেখতে চাই কারসাজিটা কোথায় হচ্ছে?

ব্যবসায়ীরা বলেন, সারাদেশে প্রতিদিন ২১ হাজার ড্রাম ভোজ্যতেলের প্রয়োজন হয়। আপনারা একটু বিশ্লেষণ করে দেখেন গত চার সপ্তাহে ওনারা মিল থেকে কত ড্রাম তেল বের করেছেন। তাহলেই প্রকৃত চিত্র পাওয়া যাবে। এক ড্রামে ২০৪ লিটার তেল থাকার কথা থাকলেও অনেক সময় ১৮৬ কেজিও পাওয়া যায়।

গত ৬ ফেব্রুয়ারি বাণিজ্যমন্ত্রণালয় ভোজ্যতেলের যে মূল্য নির্ধারণ করে তাতে, বোতলজাত সয়াবিন তেল প্রতি লিটার ১৬৮ টাকা, খোলা সয়াবিন তেল প্রতি লিটার ১৪৩ টাকা এবং পাম তেল ১৩৩ টাকা নির্ধারণ করা হয়। তবে সম্প্রতি বাজারে বোতলজাত সয়াবিন তেলের গায়ের মূল্য মুছে ফেলে তা প্রতি লিটার ২০০ টাকা বিক্রি করা হচ্ছে বলে অভিযোগ পাওয়া যাচ্ছে। খোলা সয়াবিন তেলও বিক্রি করা হচ্ছে প্রতিলিটার ১৮০ টাকা থেকে ১৯০ টাকায়। সুপার পাম তেল বিক্রি হচ্ছে ১৫০ টাকায়।

উল্লেখ্য, দেশের সাতটি মিলে প্রায় দুই লাখ টন পরিশোধিত ও অপরিশোধিত ভোজ্যতেল মজুদ রয়েছে। এর বাইরে আরও দুই লাখ টন তেলের এলসি খোলা আছে। বঙ্গোপসারে চট্টগ্রামের কাছাকাছি বন্দরে ভেড়ার অপেক্ষায় রয়েছে আরও দেড় লাখ টন অপরিশোধিত তেল। দেশে বছরে ২০ লাখ টন তেলের চাহিদা রয়েছে। সেই হিসেবে বর্তমান মজুত দিয়ে রোজার মাস স্বাভাবিকভাবেই পার করা যাবে বলে মনে করেন সংশ্লিষ্ট সরকারি কর্মকর্তারা।

এ বিভাগের আরও খবর...

পুরাতন খবর

সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র শনি রবি
 
১০১১
১৩১৫১৬
১৯২০২১২২২৩২৪২৫
২৬২৭৩০৩১  

Archive Calendar

সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র শনি রবি
 
১০১১
১৩১৫১৬
১৯২০২১২২২৩২৪২৫
২৬২৭৩০৩১  
© ২০২১ সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত | নগর সংবাদ
Design & Developed BY:
ThemesCell