পিরোজপুরের নাজিরপুর উপজেলায় আট শিক্ষার্থীকে পিটিয়ে গুরুতর আহত করার অভিযোগ উঠেছে ওই স্কুলের শিক্ষক মো. আব্দুর রাজ্জাকের বিরুদ্ধে।
আহত শিক্ষার্থীরা জানায়, বুধবার (২২ জুন) টিফিনের সময় তারা বিদ্যালয় মাঠে এসএসসি পরীক্ষার্থীদের সঙ্গে ফুটবল খেলছিল। এ নিয়ে ক্ষিপ্ত হয়ে ওই বিদ্যালয়ের ধর্মীয় শিক্ষক মো. আব্দুর রাজ্জাক তাদের পিটিয়ে আহত করেন। এ সময় পিটিয়ে দুটি বেত ভেঙে ফেলেন।
ওই শিক্ষার্থীরা আরও বলে, আসন্ন এসএসসি পরীক্ষার্থীদের জন্য বিদ্যালয় থেকে কোন বিদায় অনুষ্ঠান না হওয়ায় পরীক্ষার্থীরা শিক্ষকদের সঙ্গে খারাপ আচরণ করেন। এ নিয়ে তাদের ওপর শিক্ষকরা ক্ষিপ্ত ছিলেন। তাদের সঙ্গে ওই দিন ফুটবল খেলার খেলার অপরাধে খেলার পর আমাদের প্রধান শিক্ষকের কক্ষে ডেকে নেওয়া হয়। এ সময় আমরা অপরাধ স্বীকার করে প্রথমে প্রধান শিক্ষকের পা ধরে ক্ষমা চাই। পা ধরা অবস্থায়ই বিদ্যালয়ের ধর্মীয় শিক্ষক আব্দুর রাজ্জাক আমাদের ইসমাইল, নাইম, সাকিব ও লিখন এ ৪ ছাত্রকে বেত্রাঘাত করতে থাকেন। ওইদিন খেলায় অংশ নেওয়া রানা, শামীম, ইব্রাহিম ও হৃদয় এ ৪ জনকে আজ সকাল ১১টায় আবারও প্রধান শিক্ষকের কক্ষে ডেকে নিয়ে বেত্রাঘাত করে আহত করা হয়।
এ ব্যাপারে জানতে অভিযুক্ত স্কুল শিক্ষক আব্দুর রাজ্জাকের সঙ্গে মোবাইলফোনে কথা হলে তিনি জানান, প্রধান শিক্ষকের নির্দেশে ওইসব শিক্ষার্থীদের সামান্য হেদায়েত করা হয়েছে। আমাকে রাজনৈতিক কারণে হয়রানি করতে একটি মহল উঠে পড়ে লেগেছে।
ওই বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো. জাহাঙ্গীর হোসেন জানান, ছেলেরা অন্যায় করেছে সে উপলক্ষে যা হয়েছে তাই বলে ফোনকল কেটে দেন।
এ ব্যাপারে ওই বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির সদস্য মো. ছিদ্দিকুর রহমান ফকির শিক্ষক কর্তৃক শিক্ষার্থীদের পিটিয়ে আহত করার খবরের সত্যতা স্বীকার করে জানান, বিষয়টি স্থানীয়ভাবে মিটমাট করে দেওয়া চিন্তা চলছে।
এ ব্যাপারে উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মো.মাহিদুল ইসলাম জানান, এ ব্যাপারে একটি অভিযোগ পেয়েছি। বিষয়টি তদন্ত করে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।