ঝিনাইদহে পুলিশ সদস্যের বিয়ের দিনে বাড়িতে প্রেমিকার অবস্থান সম্পন্ন হয়েছে বিয়ের প্রস্তুতি, রাস্তায় সাজানো গাড়ি। বাড়ির সবাই প্রস্তুতি নিচ্ছেন বিয়ের অনুষ্ঠানে যেতে। সবাই যাবেন বাড়ির বড় সন্তান পুলিশ সদস্য শামীম আহাম্মেদ সম্রাটের জন্য নববধূকে আনতে। এমন সময় বরের বাড়িতে বিয়ের দাবি নিয়ে হাজির প্রেমিকা। ঘটনাটি ঘটেছে বৃহস্পতিবার (২৩ সেপ্টেম্বর) সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে ঝিনাইদহ জেলা শহরের আলহেরা পাড়ায়।
বর শামীম আহম্মেদ সম্রাট ঝিনাইদহ জেলা শহরের আলহেরা পাড়ার বাবুল আক্তারের ছেলে। ভুক্তভোগী ওই মেয়েটির অভিযোগ, শামীম আহাম্মেদ সম্রাট ২০১৮ সালের দিকে কুষ্টিয়া জেলা পুলিশের সদস্য হিসেবে চাকরি শুরু করেন। ফেসবুকে ২০১৯ সালে পরিচয় হয় তাদের। এরপর ফেসবুক ও মোবাইলে প্রেম চলতে থাকে। মেয়েটির অভিযোগ, একপর্যায়ে শামীম বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে কুষ্টিয়াতে তার বন্ধুর বাড়িতে নিয়ে একাধিকবার শারীরিক সম্পর্ক স্থাপন করে। এর কিছুদিন পর থেকে বিয়ের কথা বললেই এড়িয়ে যেতে থাকে। এমন সময় কুষ্টিয়া পুলিশ সুপারের কাছে বিষয়টি নিয়ে অভিযোগ দাখিল করেন।
এর কিছুদিন পর কুষ্টিয়া থেকে সম্রাট বদলি হন বাগেরহাট জেলায়। এতে তিনি বাগেরহাট গিয়ে তার সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করে ব্যর্থ হয়ে পুলিশ সুপারের কাছে একটি অভিযোগ দেন। তিনি বলেন, হঠাৎ জানতে পারি সন্ধ্যায় সম্রাটের বিয়ে হচ্ছে। তাই বাড়ি থেকে আমি ঝিনাইদহে চলে আসি। এখানে আসার পরে তার পরিবারের লোকজন আমাকে গালিগালাজ করে বাড়ির বাইরে অন্ধকারে রেখে গেটে তালা লাগিয়ে তারা ভেতরে অবস্থান নেয়। তবে এ ব্যাপারে কোনো কথা বলতে রাজি হননি সম্রাটের পরিবারের লোকজন। সম্রাটের মুঠোফোনে একাধিকবার যোগাযোগ করলেও তিনি কল রিসিভ করেননি।
বিষয়টি নিয়ে ঝিনাইদহ সদর থানার ওসি শেখ মোহাম্মদ সোহেল রানা জানান, ঘটনাস্থলে পুলিশ সদস্যরা আগেই গিয়েছিল। এরপর আমি নিজেও সেখানে গিয়ে মেয়েটিকে থানায় নিয়ে আসি মানবাধিকার কর্মীদের সমন্বয়ে। শারীরিক অবস্থা ভালো না থাকায় বর্তমানে মেয়েটি সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে। এ বিষয়ে বাগেরহাট জেলা পুলিশ সুপার একেএম আরিফুল ইসলাম জানান, কিছুদিন আগে কুষ্টিয়া থেকে একটি মেয়ে এসেছিল আমার কাছে। এরপর সে সম্রাটের বিষয়ে অভিযোগ দিয়ে যায় তাদের সর্ম্পকের বিষয়ে। পরে বিষয়টি আমরা তদন্তে গিয়ে দেখি কুষ্টিয়াতে অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে তার বিরুদ্ধে এরই মধ্যে বিভাগীয় মামলা হয়েছে। তবুও আমি অতিরিক্ত পুলিশ সুপারকে বিষয়টি আরও গুরুত্ব সহকারে খোঁজ নিতে বলেছি।