নগর সংবাদ।।দেশের উত্তর ও উত্তর-পূর্বাঞ্চলের নদ-নদীর পানি প্রতিদিনই বাড়ছে। উত্তর-পূর্বাঞ্চলের সুরমা পানি একদিনের ব্যবধানে প্রায় দ্বিগুণ বেড়েছে।
বাড়ছে ব্রহ্মপুত্র-যমুনা-তিস্তার পানিও। ফলে বন্যা পরিস্থিতির আরও অবনতি হতে পারে।
পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) বন্যা পূর্বাভাস ও সতর্কীকরণ কেন্দ্র বৃহস্পতিবার (১৬ জুন) এমন আভাস দিয়েছে।
বন্যা পূর্বাভাস ও সতর্কীকরণ কেন্দ্রের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. আরিফুজ্জামান ভূঁইয়া জানিয়েছেন, দেশের সব প্রধান নদ-নদীসমূহের পানির সমতল বৃদ্ধি পাচ্ছে। আবহাওয়া সংস্থাসমূহের গাণিতিক মডেলভিত্তিক পূর্বাভাস অনুযায়ী, আগামী সোমবার নাগাদ দেশের উত্তরাঞ্চল, উত্তর-পূর্বাঞ্চল এবং তৎসংলগ্ন ভারতের আসাম, মেঘালয় ও হিমালয় পাদদেশীয় পশ্চিমবঙ্গের কতিপয় স্থানে মাঝারি থেকে ভারী কোথাও কোথাও অতিভারী বৃষ্টিপাতের আশঙ্কা রয়েছে। ফলে আগামী শনিবার নাগাদ ব্রহ্মপুত্র-যমুনা, গঙ্গা-পদ্মা, সুরমা, কুশিয়ারা, তিস্তা, ধরলা ও দুধকুমারসহ সকল প্রধান নদ-নদীসমুহের পানির সমতল বৃদ্ধি অব্যাহত থাকতে পারে।
শুক্রবার (১৭ জুন) নাগাদ উত্তর-পূর্বাঞ্চলের সিলেট, সুনামগঞ্জ ও নেত্রকোণা জেলার বন্যা পরিস্থিতির আরও অবনতি হতে পারে। এই সময়ে তিস্তা নদীর পানির সমতল বিপৎসীমার উপরে অবস্থান করতে পারে। এছাড়া লালমনিরহাট, নীলফামারী, রংপুর ও কুড়িগ্রাম জেলার নিম্নাঞ্চলের কতিপয় স্থানে স্বল্প মেয়াদি বন্যা পরিস্থিতির সৃষ্টি হতে পারে। ইতোমধ্যে কুড়িগ্রামের নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়েছে।
বর্তমানে তিন নদীর পানি বিপৎসীমার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। সুরমার পানি কানাইঘাটে বিপৎসীমার ৯৯ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে, সুনামগঞ্জে ৫৫ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে ও সুরমায় ২৫ সেন্টিমিটার ওপর দিয় প্রবাহিত হচ্ছে। এছাড়া সারিগোয়াইন নদীর পানি সারিঘাটে বিপৎসীমার ৩২ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে এবং সোমেশ্বরীর পানি কলমাকান্দায় প্রবাহিত হচ্ছে বিপৎসীমার ৩৩ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে।
পাউবো জানিয়েছে, তাদের পর্যবেক্ষণাধীন বিভিন্ন নদ-নদীর ১০৯টি পয়েন্টের মধ্যে পানির সমতল বৃহস্পতিবার (১৬ জুন) বেড়েছে ৮৬টিতে, কমেছে ২০টিতে, অপরিবর্তিত আছে তিনটি পয়েন্টের পানির সমতল। আর পাঁচটি পয়েন্টে পানির সমতল প্রবাহিত হচ্ছে বিপৎসীমার ওপর দিয়ে।