নগর সংবাদ।।রাজধানীতে পৃথক ঘটনায় কিশোরীসহ দুই শিক্ষার্থীর অস্বাভাবিক মৃত্যু হয়েছে। তারা হলো- জান্নাতুল ফেরদৌসী লিশা (১৫) ও কাওসার (২০)।
ফরিদপুরের ভাঙ্গা উপজেলার তালকান্দা গ্রামের জহুর আলী ভূঁইয়ার মেয়ে জান্নাতুল। পরিবারের সঙ্গে বাড্ডা পূর্বাঞ্চল ১৭ নম্বর লেনের ৬১২ নম্বর বাসায় থাকতো সে। জান্নাতুল উত্তর বাড্ডা কামিল মাদ্রাসার ৮ম শ্রেণির শিক্ষার্থী।
তার বাবা জহুর আলী বলেন, একই মাদ্রাসার এক ছাত্রের সঙ্গে জান্নাতুলের প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। মঙ্গলবার দিনগত রাতে ওই ছেলের সঙ্গে ফোনে তার সঙ্গে ঝগড়া হয়। এর জেরে ঘরের ভেতর গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করে জান্নাতুল।
বাড্ডা থানার উপপরির্দশক (এসআই) মেহেদী হাসান বলেন, খবর পেয়ে মঙ্গলবার রাত ৯টায় ঝুলন্ত অবস্থায় ওই কিশোরীর মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়। সে গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেছে বলে প্রাথমিক তদন্তে জানতে পেরেছে পুলিশ।
অপরদিকে কমলাপুর স্কুল অ্যান্ড কলেজে একাদশ শ্রেণির শিক্ষার্থী ছিল কাওসার। পড়াশোনার পাশাপাশি একটি দোকানে চাকরিও করতো সে। তার বাড়ি ময়মনসিংহ ধোবাউড়া উপজেলার বলসিন্দুর কান্দাপাড়া গ্রামে। রাজধানীর সবুজবাগের কাঠেরপুল এলাকায় মামার সঙ্গে ভাড়া বাসায় থাকতো কাওসার।
তার মামা নুর উদ্দিন বলেন, মঙ্গলবার সন্ধ্যা ৬টা থেকে রাত ১১টা পর্যন্ত কাওসারের ঘরের দরজা বন্ধ ছিল। এ সময় অনেক ডাকাডাকি করেও তার কোনো সাড়া পাওয়া যায়নি। পরে ঘরের দরজা ভাঙলে কাওসারকে ফ্যানের সঙ্গে ঝুলন্ত অবস্থায় দেখা যায়।
সুরতহাল প্রতিবেদনে সবুজবাগ থানার উপপরিদর্শক (এসআই) মো. সবুজার আলী উল্লেখ করেন, মঙ্গলবার সন্ধ্যা থেকে রাত ১১টার মধ্যে যেকেনো সময় গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করে কাওসার।