রাজধানীতে পৃথক ঘটনায় রামপুরায় মনোয়ার আদিব (২৮) ও খিলগাঁওয়ে বকুল মৃধা (২০) নামে দুই যুবকের রহস্যজনক মৃত্যু ঘটেছে। তারা গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেছেন বলে দাবি করেছে পরিবারের সদস্যরা।
মৃত মনোয়ার আদিবের বাড়ি বরিশালের বাকেরগঞ্জ উপজেলায়। তার বাবার নাম জাকির হোসেন শিকদার। রামপুরা টিভি সেন্টারের পাশে একটি বাসায় পরিবারের সঙ্গে থাকতেন আদিব। ধানমণ্ডিতে একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে সফ্টওয়্যার ইঞ্জিনিয়ার হিসেবে কর্মরত ছিলেন আদিব।
অন্যদিকে নিহত বকুল মৃধা মানসিক ভারসাম্যহীন ছিলেন বলে জানিয়েছেন তার পরিবার। খিলগাঁও মেরাদিয়া মধ্যপাড়া একটি বাড়ির নিচ তলায় সপরিবারে ভাড়া থাকতেন বকুল।
নিহত আদিবের বাবা জাকির হোসেন বলেন, গত মাসে বিয়ে করে আদিব। কয়েকদিনের মধ্যে হানিমুনে যাওয়ার কথা ছিল তাদের। শুক্রবার রাতে স্ত্রীর সঙ্গে কোনো কারণে ঝগড়া হয় আদিবের। রাতেই অভিমান করে স্ত্রীকে রুম থেকে বের করে দিয়ে দরজা বন্ধ করে দেয় আদিব। পরে প্রতিবেশীদের সহযোগিতায় দরজা ভেঙে দেখি, ফ্যানের সঙ্গে রশি পেঁচিয়ে গলায় ফাঁস দিয়েছে আদিব। সঙ্গে সঙ্গে তাকে উদ্ধার করে স্থানীয় একটি হাসপাতাল নিয়ে যাই। সেখান থেকে পরে ঢাকা মেডিকেল নিয়ে গেলে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
এদিকে মৃত বকুলের বড় ভাই টুটুল মৃধা বলেন, শুক্রবার মায়ের সঙ্গে ঝগড়া করে রাতে রুমের দরজা বন্ধ করে গলায় ফাঁস দেয় বকুল। খবর পেয়ে আমি বাসায় গিয়ে রুমের দরজা ভেঙে বকুলকে উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেল নিয়ে যাই। পরে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।