নারায়ণগঞ্জ-৪ আসনের সংসদ সদস্য শামীম ওসমান বলেছেন, শেখ হাসিনা এখন আওয়ামী লীগের সম্পদ না, তিনি এখন বাংলাদেশের সম্পদ। এই সম্পদ নিয়ে ষড়যন্ত্র শুরু হয়েছে। আজ সবাইকে এক হওয়া দরকার। যারা খেলছেন এতদিন চুপ ছিলাম। ধৈর্য্যেরও একটা লিমিট আছে। আমি শামীম ওসমান জীবিত থাকাবস্থায় পারবেন না।
রোববার (২১ আগস্ট) বিকালে ফতুল্লার তল্লায় জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে আওয়ামী লীগের আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন।
প্রধানমন্ত্রীকে উদ্দেশ করে শামীম ওসমান বলেন, কেন তাদের চায়ের দাওয়াত দেন? যারা আপনাকে হত্যার চেষ্টা করেছিল তাদের আপনি চায়ের দাওয়াত দিতে পারেন না। কী ঠেকা পড়েছে আমাদের যে গণতন্ত্রের চর্চা করতে হবে। আমাদের ঠেকা পড়েনি গণতন্ত্র চর্চা করার। যারা দেশকে ব্যর্থ রাষ্ট্র বানাতে চায় তাদের কেন চায়ের দাওয়াত দিচ্ছেন?
শামীম ওসমান বলেন, প্রতিদিনই বলেন রাজপথ দখল করবেন। করেন না, আমরা তো বসেই আছি তোমাদের সঙ্গে খেলার জন্য। রাজাকারের সন্তানদের সঙ্গে মুক্তিযোদ্ধার সন্তানদের খেলা হবে। এই খেলায় মুক্তিযোদ্ধার সন্তানরাই জিতবে।
তিনি আরও বলেন, ‘আজ ২১ আগস্ট। আজ থেকে একুশ বছর আগে নারায়ণগঞ্জে একটা ঘটনা ঘটেছিল। ১৬ জুন ২০০১ সালে বোমা মারা হয়েছিল। নিজের কাছে অপরাধবোধ হয়, মাফ করতে পারি না। অপরাধ করেছিলাম স্বাধীনতার পক্ষে কথা বলে, মুক্তিযোদ্ধার ঘরে জন্ম নিয়ে। অপরাধ করেছিলাম কারণ সত্যকে সত্য ও মিথ্যাকে মিথ্যা বলতে শিখেছিলাম। শুধু বলেছিলাম এ নারায়ণগঞ্জের পবিত্র মাটি যেখানে আওয়ামী লীগের জন্ম যেখানে ভাষা আন্দোলন শুরু সেই নারায়ণগঞ্জের পবিত্র মাটিতে স্বাধীনতা বিরোধীদের প্রবেশ নিষেধ।’
‘এই অপরাধে আওয়ামী লীগ অফিসে আরডিএক্স দিয়ে হামলা করা হল। আমাদের হাত পা বিকল হয়ে গেল। আমাদের অপরাধ কী? আমাদের ২০ জন মানুষ যে মরল তারা কী মানুষ না? তখন আমার জ্ঞান ছিল না। হাসপাতালে নেয়ার পর আমি জানতাম না কয়জন মারা গেছে। জ্ঞান ফেরার পরে শুধু একটা কথাই বলেছিলাম, শেখ হাসিনাকে বাঁচান। আমি বলিনি আমাকে বাঁচাও কষ্ট হচ্ছে। আমি বলেছি শেখ হাসিনকে বাঁচান।’
তিনি আরও বলেন, ‘জাতির পিতা আর পনেরো বিশ বছর পেলে বাংলাদেশ জাপানের মত দেশ হওয়ার কথা ছিল। আমাদের তো সোনার শরীর পুড়িয়ে বিদেশে কাজ করার কথা না। তারা আমাদের মত যারা কিশোর ছিল তাদের স্বপ্নকে হত্যা করেছিল। তারপরেও তারা শান্তি হয়নি’।
নারায়ণগঞ্জ জেলা যুবলীগ নেতা জানে আলম বিপ্লবের সভাপতিত্বে সভায় উপস্থিত ছিলেন, নারায়ণগঞ্জ মহানগর আওয়ামীলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক শাহ নিজাম, ফতুল্লা থানা আওয়ামীলীগের সভাপতি সাইফ উল্লাহ বাদল, সাধারণ সম্পাদক শওকত আলী, মহানগর স্বেচ্ছাসেবকলীগ নেতা মো: জুয়েল হোসেন প্রমুখ।