সুন্দর সকালের মাঝে আমাদের সবার দিনটি শুরু হয়। তাই রাতের ঘুমকে তাড়াতে হলে হৃদপিন্ডকে জাগাতে হলে এক গ্লাস
পানি সতেজ করতে পারে । তবে শরীরের সুস্থতা বজায় রাখতে হলে এই টিপস গুলো মেনে চললে উপকৃত হবেন ।
বিশেষজ্ঞদের মতে, সকালে এক গ্লাস বিশুদ্ধ পানি পানের পরামর্শ দিয়ে থাকেন। এছাড়া সকালে খালি পেটে পানি পান করলে আরো অনেক উপকার পাবেন।
রাতে একটানা ঘুমানোর কারণে হজম প্রক্রিয়ার কোনো কাজ থাকে না। এজন্য; সকালে ঘুম থেকে উঠেই পানি পানের ফলে হজম প্রক্রিয়া তড়ান্বিত হয় এবং হজম শক্তি বেড়ে যায়।
প্রতি দিন সকালে ঘুম থেকে উঠে ১ গ্লাস হালকা গরম পানি পানে শরিরের মেটাবলিজম বৃদ্ধি পায়। ১ গ্লাস পানির কারণে দেহের রক্তের দূষিত পদার্থ বের হয়ে যায়।
ঘুম থেকে উঠে নিয়মিত পানি পানের ফলে ত্বক সুন্দর ও উজ্জ্বল হয়। প্রতিদিন সকালে নাস্তার আগে খালি পেটে পানি খেলে দেহের মাংশ পেশি ও কোষ সুগঠিত হয়।
সকালে পানি পানের অভ্যসের ফলে কিডনির সমস্যা, মাসিকের সমস্যা, বমি বমি ভাব, ডায়ড়িয়া সহ বিভিন্ন রোগে বিশেষ উপকার পাওয়া যায়। প্রতিদিন সকালে খালি পেটে পানি পানের কারণে মলাশয় পরিষ্কার থাকে; এবং কোষ্ঠকাঠিন্য রোগ থেকে মুক্তি মেলে এবং মল ত্যাগ আরামদায়ক হয়।
শুধু দামি দামি মাছ মাংস খেলেই আমাদের খাদ্যর সকল চাহিদা পূরণ হবে বলে আমরা অনেকেই মনে করি, কিন্তু এ ধারণা ঠিক নয়। তাই প্রতি বেলা ভাত ত্রকারীর উপর ঝাঁপিয়ে না পরে; টাটকা ফল খাওয়া অভ্যাস করতে হবে। কাঁচা-পাঁকা বিভিন্ন ফলে প্রচুর পরিমানে ভিটামিন সি; ও ভিটামিন এ সহ প্রায় সকল প্রকার ভিটামিন থাকে। ভিটামিন সি ত্বক ভালো রাখে এবং আমাদের চেহারার সৌন্দর্য বৃদ্ধি পায়! কিন্তু; ভিটামিন সি তাপে নষ্ট হয়; এজন্য আমরা শুধু মাত্র রান্না করা খাবারের উপর নির্ভর হয়ে থাকলে এসকল অতি প্রয়োজনীয় খাদ্য উপাদান থেকে বঞ্চিত হবো ! সুতরাং আমাদের সুস্থ্য শরীল ও ভালো নিরোগ স্বাস্থ্যর অধিকারী হতে হলে প্রতি দিন টাটকা ফল খাওয়ার অভ্যস করতে হবে।
ব্যায়াম করার বিষয় টি আমরা সকলেই জানি! কিন্তু আমরা দুঃখের বিষয় হলো, বিনা পয়সায় পাওয়া এই সেরা স্বাস্থ্য টিপস আমরা মানতে রাজি নই। কারণ ব্যায়ামের উপকারিতা কি ; কখন ব্যায়াম করা ভালো; সঠিক ভাবে ব্যায়ামের নিয়ম আমরা জানি না। ফলে ফলে আমাদের অনেকেই কিছু দিন ব্যায়াম করলেও , পরে আর অগ্রহ থাকে না। তাই ব্যায়ামের গুরুত্ব মাথায় রাখতে হবে ।
নিয়মিত শারীরিক পরিশ্রম ও ব্যায়াম করার ফলে; শরীরের ওজন ঠিক থাকে। উচ্চ রক্ত চাপ কমে যায়। শিশু এবং কিশোরদের প্রতি দিন অন্তত ১ ঘন্টা ব্যায়াম করতে হবে অথবা ব্যায়ামের বিকল্প হিসেবে খেলাধূলায় অংশ্রগ্রহণ করতে হবে ! সু-স্বাস্থ্য ধরে রাখার জন্য পূর্ণ বয়স্ক ব্যক্তির প্রতি দিন কমপক্ষে দেড় ঘন্টা থেকে দুই ঘন্টা ব্যায়াম অথবা তিন চার ঘন্টা শারীরিক বা কায়িক শ্রম করতে হবে।
খিদে পেলে আমরা কোনো কিছু বিবেচনা না করেই বা খাবারে পুষ্টিমান বিচার না করে খাবার সাবার করে দেই। আবার অনেকেই মনে করি; পুষ্টিকর খাবার মানেই হলো দামি খাবার । এধারণা মোটেই ঠিক না। আমাদের দেশে অনেক কম মূল্যে পুষ্টি সমৃদ্ধ স্বাস্থ্যকর খাবার পাওয়া যায়। এর মধ্যে উদ্ভিজ খাবার শাক-সবজি অন্যতম। তাছাড়া, রাস্তার পাশের খোলা খাবার খেলে আমাদের স্বাস্থ্য নাশের আশংকা রয়েছে। তাই খাদ্যর গুণাগুণ সম্পর্কে আমাদের সর্বদা সচেতন থাকতে হবে । অতিরিক্ত তেল চর্বি যুক্ত খাবার বর্জন করে চলতে হবে।
ভালো স্বাস্থ্য পেতে সুনির্দিষ্ট মাত্রায় প্রোটিন গ্রহণ করতে হবে। কারণ; প্রোটিন আমাদের দেহ গঠন করে; ক্ষয় পূরণ করে; দেহের বৃদ্ধি করে। মাছ, মাংস, ডিম হলো প্রণিজ প্রোটিনের প্রধান উৎস। এছাড়া যারা অপেক্ষাকৃত বেশি পরিশ্রম করেন, তাদের শর্করা বা কার্বহাইড্রেট জাতীয় খাবার বেশি বেশি গ্রহণ করতে হবে।
সুস্থ শরীর পেতে ওজন কমানোর কোনো বিকল্প নেই; এবং বর্তমানে অধুনিক সময়ে ওজন কমানো খুব কঠিন কাজ নয়। তাই ওজন কমানো হতে পারে আপনার জন্য সেরা স্বাস্থ্য টিপস।