৫ই ফেব্রুয়ারী বৃহস্পতিবার, ঠিক দুপুর ১ টায়, পশ্চিমবঙ্গ প্রদেশ কংগ্রেস কমিটির ডাকে এবং সভাপতি শুভঙ্কর সরকারের আহবানে , বিভিন্ন দুর্নীতির বিরুদ্ধে, কয়েকশো কংগ্রেস কর্মীরা কলকাতা কর্পোরেশন ঘেরাও করেন এবং ডেপুটেশন দেন। দুপুর বারোটা থেকে মৌলালি বিধান ভবনের সামনে কংগ্রেসকর্মীরা জমায়েত হন এবং সেখান থেকে মিছিল করে কলকাতা কর্পোরেশনের সামনে আসলে পুলিশ ব্যারিকেট করে আটকে দেন,
বেশ কিছুক্ষণ ধরে তারা সেখানে বিক্ষবিদা দেখান বিভিন্ন দুর্নীতির বিরুদ্ধে এবং যাহারা এই সকল কান্ড ঘটিয়েছে তাদের শাস্তির দাবীতে, তারা বলেন দুর্নীতিগ্রস্ত নির্মাতা ও পুরো কর্তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নিতে হবে।
এবং বহু দল বাড়িতে যাদের ক্ষতি হয়েছে তাদের ক্ষতিপূরণ দিতে হবে, তারপর তারা যখন ডেকোরেশন দেওয়ার জন্য তৈরি হন এবং পুলিশদের সহযোগিতা চান, তাহাদের বাধা দেয় ডেপুটেশন দিতে না যাওয়ার জন্য, তারা জানান ডেপুটেশন দেওয়া যাবে না,
বহুবার কংগ্রেসের তরফ থেকে বলেন আমরা শুধু ডেপোরেশন দিয়ে চলে আসব তাতেও রাজি হননি, শুরু হয় ব্যারিকেট ভাঙ্গা ও ঠেলাঠেলি, এর সাথে সাথে মেয়র থেকে শুরু করে পৌরসভার দায়িত্ববান অফিসারদের বিভিন্নভাবে আক্রমণ করতে থাকেন, বলেন আমরা যতক্ষণ না ডেপুটেশন দেবো আমরা এখানে অবস্থান করবো ,তারি কিছুক্ষণ পরে পুলিশ প্রশাসনের সাথে কংগ্রেস কর্মীদের ব্যারিকেট ভাঙ্গা আরম্ভ হয়, এবং সেই সময় পুলিশ হঠাৎ কংগ্রেস কর্মীদের উপর লাঠি চালাতে শুরু করে,
বেশ কয়েকজন আহত হন, এবং বেশ কয়েকজন বিভিন্ন জায়গায় চোট পান, কংগ্রেসকর্মীরা জানালেন আমরা শান্তিপূর্ণ বিক্ষোভ দেখাচ্ছিলাম ,তবুও আমাদের ডেপুটেশন দিতে দেয় না পুলিশ, পুলিশ এইরকম অমানবিক পরিস্থিতি সৃষ্টি করায় কংগ্রেসকর্মীরা এস এন ব্যানার্জি রোড আটকে দেন এবং রাস্তার উপর বসে পড়েন,
কিছুক্ষণ পরে ঘটনাস্থলে উপস্থিত হন ডিসি, তিনি এসে সামাল দেন এবং ডেপুটেশন দেওয়ার পারমিশন দেন।, ডেপুটেশন দিতে গেলে প্রশাসনের অফিসারেরা কংগ্রেস কর্মীদের বুঝিয়ে পৌরসভার একসাইটে জমায়েত হতে বলেন । কংগ্রেস কর্মীরা বলেন কি কারনে আমাদের উপর লাঠি চালানো হলো তার জবাব দিতে হবে পুলিশ অফিসারদের।
মিছিলে উপস্থিত ছিলেন কংগ্রেস সভাপতি শুভঙ্কর সরকার, মেহেবুব চৌধুরী, প্রদীপ প্রসাদ ,আশুতোষ চ্যাটার্জী, মায়া ঘোষ, সুমন পাল সহ অন্যান্য কংগ্রেস কর্মীরা।। তারা বলেন কলকাতা কর্পোরেশনে দুর্নীতির আগ্রা হয়ে দাঁড়িয়েছে, এই দুর্নীতিকে দূর করতে হবে এবং মেয়রকে পদত্যাগ করতে হবে।
তাহারা জানান আরো চৌদ্দটি বাড়ির অবস্থা একই রকম, কোন সময় দুর্ঘটনা ঘটতে পারে, যে সকল দুর্নীতি গুলি উল্লেখ করেছেন তাহাদের মধ্যে, জল সরবরাহ ও নিকাশি কেলেঙ্কারী, সম্প্রতি করে দুর্নীতি, টেন্ডার ও চুক্তি কেলেঙ্কারি, বিল্ডিং আইন লঙ্ঘন ও অবৈধ নির্মানে দুর্নীতি,শাস্তি দুর্নীতি, ট্রেড লাইসেন্সের দুর্নীতি, হকার ও দখলদারীতে দুর্নীতি, অবৈধ হোল্ডিং ও বিজ্ঞাপনে কেলেঙ্কারী, অবৈধ পার্কিং ও টোল সংগ্রহে দুর্নীতি, দুর্নীতিকে অবিলম্বে মুক্ত করতে হবে। এবং সমস্ত দোষীদের গ্রেপ্তার করে শাস্তি দিতে হবে।