নগর সংবাদ।।নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশনের নব নির্বাচিত মেয়র ডা. সেলিনা হায়াৎ আইভী বলেছেন, মুক্তিযোদ্ধারা সব সময় আমার পাশে ছিলো। ২০১১ সালে নির্বাচনের কঠিন মুহুর্তে মুক্তিযোদ্ধারা সর্ব প্রথম আমাকে নিয়ে মাঠে নেমেছিলো। এই কথা কখনো ভুলবো না। মৃতুর আগ পর্যন্ত মনে রাখবো। আপনাদের প্রতি সম্মান শ্রদ্ধা মনের ভিতর লালিত হবে। ২০১৬ সালে নির্বাচনে একই কাজ করেছিলেন। ২০২২ সালে মুক্তিযোদ্ধাদের নিয়ে আমি নির্বাচনের প্রথম প্রচার প্রচারণা শুরু করেছিলাম।
বৃহস্পতিবার(২৭ জানুয়ারি) দুপুরে মর্গ্যান গার্লস স্কুল এন্ড কলেজে আনোয়ার হোসেন মিলনায়তনে বীর মুক্তিযোদ্ধাদের সংবর্ধনা ও সম্মাননা চেক প্রদান অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, পৌরসভা থাকাকালীন মুক্তিযোদ্ধাদের ট্যাক্স মওকুফ করে দিয়েছি সিটি করপোরেশন হবার পরও করে দিয়েছি, এবার কথা দিয়েছিলাম পানির বিল মওকুফ করে দিবো।
তিনি আরও বলেন, মুক্তিযোদ্ধাদের সংবর্ধনা ও সম্মাননা সিটি করপোরেশন থেকেও করে থাকে। সরকারের কি কি কাজ করছে সবাই আপনারা জানেন। সারাবিশ্ব এখন রোল মডেল হিসাবে বিবেচিত হচ্ছে। আমাদের বাংলাদেশ এগিয়ে যাচ্ছে। কিন্তু একটি মহল বসে নাই, অসম্ভব ভাবে তারা লিপ্ত আছে কিভাবে এই সরকারকে ছোট করা যায়, কিভাবে এই সরকারে বিরুদ্ধে অপপ্রচার করা যায়। তাই এই বিষয় আমাদের সবাইকে সোচ্চার থাকতে হবে।
আইভী বলেন, আমরা এই সরকারে স্বাধীনতার স্বপক্ষের একটি শক্তি। সরকার আমাদের নেতৃত্ব দিচ্ছে যার ফলে এমন কোনো সেক্টর নাই যারা কম বেশি বেনিফেশিয়াল হচ্ছে না। নারীর ক্ষমতায়ন থেকে শুরু করে মুক্তিযোদ্ধা, বয়স্ক ভাতা, প্রতিবন্ধী ভাতা দেওয়া হচ্ছে। প্রচুর কাজ হচ্ছে। আমাদের প্রচার একটু কম বলে আমরা অনেক সময় বলি সরকার কি করছে। আমাদের সেই কাজগুলো তুলে ধরতে হবে। সরকার শহীদ মুক্তিযোদ্ধাদের কবর খুজে খুজে শনাক্ত করে বাধাই করে দিচ্ছে।
তিনি আরো বলেন ২০২৩ সালে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীকে পুনরায় আমরা প্রধানমন্ত্রী হিসাবে দেখতে চাই। যতই ষড়যন্ত্র হোক না কেন এই ষড়যন্ত্রকে ছিন্ন করে আমরা এই উন্নয়নের ধারাকে অব্যাহত রাখবো। উন্নয়নের ধারাকে অব্যাহত রাখার জন্য আমাদের এ সরকারকে প্রয়োজন। এটার জন্য আমরা যে যেখানেই থাকি না কেন সেখান থেকে সরকারের ভালো কাজগুলো তুলে ধরতে হবে।
এসয়ম তিনি পুলিশ প্রশাসন কে উদেশ্য করে বলেন, শহরে ছিনতাই বেড়ে গেছে এই ব্যাপারে জেলা পুলিশ প্রশাসনকে অনুরোধ করবো এই বিষয়ে ব্যবস্থা গ্রহণ করার জন্য।
মেয়র আইভী জেলা পরিষদকে ধন্যবাদ জানিয়ে বলেন। মুক্তিযোদ্ধাদের জন্য এমন আয়োজন করায় জেলা পরিষদের চেয়াম্যান ও মহানগর আওয়ামীলীগের সভাপতি আনোয়ার হোসেনকে ধন্যবদা জানাই।
এইসময় বীর মুক্তিযোদ্ধাদের সংবর্ধনা ও সম্মাননা চেক প্রদান অনুষ্ঠানে জেলার ১৬১ জন মুক্তিযোদ্ধাদের সংবর্ধনা ও সম্মানান স্বরূপ ১০ হাজার টাকার চেক প্রদান করা হয়।
অনুষ্ঠানের নারায়ণগঞ্জ জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান মো আনোয়ার হোসেন সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসাবে ছিলেন বীর মুক্তি প্রতীক বস্ত্র ও পাট মন্ত্রী গোলাম দস্তগীর গাজী। আরও উপস্থিত ছিলেন, জেলা প্রশাসাক মো মঞ্জুরুল হাফিজ, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন) মোস্তাফিজুর রহমান, জেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদের সাবেক ডেপুটি কমান্ডার নুরুল হুদা, জেলা আওয়ামীলীগের সহসভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল কাদির, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও জেলা পরিষদ সদস্য জাহাঙ্গীর আলম প্রমুখ