গোলাম মোহাম্মদ (জিএম) কাদেরের নেতৃত্বাধীন জাতীয় পার্টি (জাপা) থেকে মনোনয়ন না পেয়ে দলটির প্রধান পৃষ্ঠপোষক ও সংসদে বিরোধীদলীয় নেতা রওশন এরশাদ আওয়ামী লীগ সভাপতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কাছে নালিশ দিয়েছেন। ।
সাক্ষাৎ শেষে গণভবন গেটে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন মশিউর রহমান রাঙ্গা। তিনি বলেন, তিনি (রওশন) হুসেইন মুহাম্মদ এরশাদের পত্নী, তিনি দল পরিচালনা করেছেন, তিনি জেল খেটেছেন আড়াই বছর। সাদ (রওশনের ছেলে) আমার পাশে দাঁড়িয়ে আছে, সেও আড়াই বছর জেলে ছিল। ছোটবেলা থেকে জেলে ছিল। এমপি হওয়ার অধিকার তো এরশাদ সাহেবের সন্তানের রয়েছে।
রাঙ্গা বলেন, তিনি (জিএম কাদের) তো চাচা হিসেবে তাকে (সাদ) ভাতিজাই মনে করেন। সুতরাং সেই আসনে তিনি নিজে দাঁড়িয়েছেন। এটা তো একটা নেতৃত্বসুলভ আচরণ হলো না। তিনি আত্মীয়ের সঙ্গে সমস্যা করলেন। তার ভাবির সম্পর্কেও তিনি কুমন্তব্য করেন। তার মহাসচিব (মুজিবুল হক চুন্নু), তিনিও করেন। আমার সম্পর্কেও অনেক গীবত তারা করেন। করুক, রাজনীতি করতে গেলে আমাদের শুনতে হয় এগুলো।
জাতীয় পার্টির সাবেক মহাসচিব বলেন, আমি মনে করি, তিনি (রওশন) আসছিলেন যে, আমাকে যখন মনোনয়ন দেওয়া হয়নি এবং দলের আরও এরকম নেতাকর্মী, অন্তত আড়াই থেকে তিনশ’ নেতাকর্মীকে তারা (জিএম কাদের) বহিষ্কার করেছে এবং তাদের কাউকেই তারা মনোনয়ন দেয়নি।
মশিউর রহমান রাঙ্গা আরও বলেন, এখন কথা হলো হুসেইন মুহাম্মদ এরশাদের সন্তান সাদ যদি মনোনয়ন না পায়, বেগম রওশন এরশাদ, যিনি হুসেইন মুহাম্মদ এরশাদের স্ত্রী, তিনি যদি মনোনয়ন না পান, আমি দুই দুইবার দলের মহাসচিব, আমি যদি মনোনয়ন না পাই, তাহলে কাদের নিয়ে তারা নির্বাচন করছেন, আমরা এ ব্যাপারে সন্দিহান। সেই কারণে আমরা চাই ওই জাতীয় পার্টির সঙ্গে আমরা, আমাকে তো তারা সাসপেন্ড করেছে, আমি সাসপেন্ড আছি, আমরা চাই ওদের সঙ্গে আমরা থাকবো না। আমাদের বিরোধী দলীয় নেতা বলেছেন, যেহেতু জাতীয় পার্টির সঙ্গে কোনো সম্পর্ক আমাদের রাখেনি তারা, সুতরাং তারা তাদের মতো নির্বাচন করবে। দেশব্যাপী তারা নির্বাচন করুক, উৎসবমুখর নির্বাচন হোক। কিন্তু যদি অ্যালায়েন্স (জোট) করতে হয়, তাহলে আমাদের সঙ্গে আলাপ করতে হবে। আমরাও অ্যালায়েন্সের ভাগীদার হতে পারি।
প্রধানমন্ত্রী কী বলেছেন জানতে চাইলে রাঙ্গা গণমাধ্যমকর্মীদের বলেন, প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, তিনি পরিষদ নিয়ে বসবেন। আলোচনা করে তিনি সিদ্ধান্ত দেবেন।