সকাল ১০টা বাজতে না বাজতেই রোদের তাপ যেন গায়ে ছ্যাঁকা দেয়। ত্বকের সংক্রমণ, হজমের সমস্যা ও মন মেজাজ খিটখিটে হয়ে থাকা।
শীতলী প্রাণায়াম কী?
নাম থেকেই স্পষ্ট, এর সঙ্গে জড়িয়ে রয়েছে শীতল হওয়ার সম্পর্ক। সংস্কৃত শব্দ ‘শীত’ মানে ঠান্ডা। সেখান থেকেই শীতলী প্রাণায়ামের আবির্ভাব। এই প্রাণায়ামকে অনেকে ‘কুলিং ব্রিদ’ নামেও জানেন। সহজে চটজলদি শরীর, মন ঠান্ডা করার এর চেয়ে ভালো পদ্ধতি আর হয় না।
কীভাবে কাজ করে এই প্রাণায়াম?
শীতলী প্রাণায়াম করলে শরীরে স্বাভাবিক উদ্বায়ী প্রক্রিয়াটি সক্রিয় হয়ে ওঠে। এই প্রাণায়াম করলে দেহের অতিরিক্ত তাপ নিয়ন্ত্রণে রাখা যেতে পারে। গরমে হজমের গোলমাল, গলা-বুক জ্বালার সমস্যা নিয়ন্ত্রণে থাকে।
এই প্রাণায়াম করার পদ্ধতি
প্রথমে হাঁটু মুড়ে পদ্মাসনে বসুন। মনকে শান্ত রাখুন। পাঁচ-ছ’বার স্বাভাবিক শ্বাস নিয়ে এই প্রাণায়াম শুরু করুন। মুখগহ্বরের ভেতর থেকে জিভ সামান্য একটু বাইরে বার করুন। গোল ‘ও’-এর মতো করে প্রথমে শ্বাস টানতে শুরু করুন। একসঙ্গে মুখ ও নাক উভয় দিয়েই চলবে শ্বাসগ্রহণ। এবার শ্বাস ছাড়তেও হবে নাক ও মুখ দিয়ে। পাঁচ থেকে ১০ বার পর্যন্ত করা যায়।
যাদের পিত্তদোষ রয়েছে, তাদের জন্য এই প্রাণায়াম ভালো।
দেহের তাপমাত্রা অত্যধিক হারে বেড়ে গেলে তা আবার স্বাভাবিক জায়গায় নিয়ে আসে।
পেটের গোলমাল, অ্যাসিডিটি, হজমের সমস্যা নির্মূল করে।
ত্বকের প্রদাহজনিত সমস্যা দূর করে।
শরীরের পাশাপাশি মানসিক চাপ, উদ্বেগজনিত সমস্যাও নিয়ন্ত্রণে রাখে।