নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লায় প্যারোলে মুক্তি পেয়ে স্ত্রীর জানাজায় অংশ নিলেন মুন্সিগঞ্জ জেলা যুবলীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি শাহজাহান খান।
রোববার (১৯ অক্টোবর) সন্ধ্যায় মুন্সিগঞ্জ কারাগার থেকে প্যারোলে মুক্তি পেয়ে ফতুল্লার সস্তাপুরে স্ত্রী ডা. গোলশান আক্তার বানুর জানাজায় অংশ নেন তিনি।
এসময় শাহজাহান খান বলেন, ‘জেলখানা আমার জন্য নেয়ামত। জেলে থেকে পবিত্র কোরআন শরিফ পড়া শিখেছি। এখন নিয়মিত নামাজের পর কোরআন শরিফ পড়ি এবং অর্থ বোঝার চেষ্টা করি।’
তিনি আরও বলেন, ‘বঙ্গবন্ধু কোনো দোষ করেননি। দেশের জন্য, দেশবাসীর জন্য সারাজীবন জেল খেটেছেন। আমিও কোনো দোষ করিনি। কাউকে মারিনি, হত্যা করিনি। বঙ্গবন্ধুর আদর্শ নিয়েই জেলখানায় কোরআন পড়া শিখেছি। মুক্তির পর আবারও জনসেবা করবো।’
শাহজানান খানের ছোট ভাই ফজলুল করিম খান জানান, গত ২৫ মার্চ সন্ধ্যায় নারায়ণগঞ্জের আদমজী এলাকায় ইফতার পার্টি থেকে শাহজাহান খানকে গ্রেফতার করে পুলিশ। গ্রেফতারের আগে থেকেই তার স্ত্রী গোলশান আক্তার বানু নানা রোগে আক্রান্ত হয়ে অসুস্থ ছিলেন। তার দুই ছেলে দেশের বাইরে থাকায় স্ত্রীর চিকিৎসা ও সেবাযত্ন করতেন শাহজাহান খান নিজেই।
শাহজাহান খান মুন্সিগঞ্জ জেলা যুবলীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি ও টেংগারচর ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান।
ফতুল্লা মডেল থানার পরিদর্শক (তদন্ত) আনোয়ার হোসেন বলেন, পরিবারের আবেদনে শাহজাহান খান প্যারোলে দুই ঘণ্টার জন্য মুক্তি পেয়েছেন। তার স্ত্রীর দাফন শেষে ফের মুন্সিগঞ্জ কারাগারে পাঠানো হয়েছে। তার বিরুদ্ধে মুন্সিগঞ্জ ও ফতুল্লাসহ বিভিন্ন থানায় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে হামলা হত্যাসহ একাধিক মামলা রয়েছে।