ফতুল্লায় তুচ্ছ ঘটনার জের ধরে স্বামীসহ অন্তঃসত্ত্বাকে পিটিয়ে জখম করেছে সন্ত্রাসীরা। ভুক্তভোগীদের ঘরের দরজা-জানালা আসবাবপত্রও ভাংচুর করে তারা।
এ ঘটনায় আহত হন আরও দুজন।
গতকাল বৃহস্পতিবার (১ জুন) রাতে ও শুক্রবার (২ জুন) দুপুরে দুই দফায় ভুক্তভোগীদের ওপর হামলা চালায় সন্ত্রাসীরা। তাদের ভাড়া করেছিলেন ভুক্তভোগীদের প্রতিবেশী সুমাইয়া, তার দুই ভাই আলম ও রাকিবুল।
ফতুল্লার ইসদাইর বুড়ির দোকান এলাকায় গাজী আলমগীর হোসেনের বাড়িতে ঘটনাটি ঘটে। এতে ওই বাড়ির লোকেদের মধ্যে আতংক বিরাজ করছে।
জানা গেছে, ঘটনার পর জাকির হোসেন ৯ জনের নাম উল্লেখসহ আরও অজ্ঞাত ১৫ জনের বিরুদ্ধে ফতুল্লা মডেল থানায় একটি লিখিত অভিযোগ করেছেন। ফতুল্লা মডেল থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মহসিন এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, অভিযোগ পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছে। সন্ত্রাসীদের বিরুদ্ধে খোঁজ খবর নেওয়া হচ্ছে। তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
অভিযোগে উল্লেখ করা হয়, গাজী আলমগীর হোসেনের বাড়িতে দুটি ফ্ল্যাটে ভাড়া থাকেন জাকির হোসেন ও আলম। তারা একই রান্না ঘর ব্যবহার করেন। বৃহস্পতিবার রাতে জাকির হোসেনের অন্তঃসত্ত্বা স্ত্রী রান্নার সময় আলমের ছোট বোন সুমাইয়ার ওপর পানি পড়ে। এ নিয়ে দুজনের মধ্যে কথাকাটাকাটি হয়। পরে সুমাইয়া তার দুই ভাই আলম ও রাকিবুলকে ডেকে আনেন।
তারা এসে জাকিরের স্ত্রীকে মারধর করেন। এ সময় জাকির ও তার প্রতিবেশী রমজান আলী এবং বাড়িওয়ালা গাজী আলমগীর হোসেন এগিয়ে আসেন। আলম ও রাকিবুল তাদেরও মারধর করেন। এরপর তারা কমল, রুবেল, সাব্বির, মানিক, পায়েল ও রগকাটা আকাশসহ আরও ১০ থেকে ১৫ জন সন্ত্রাসীকে ডেনে আনেন। তারা ভুক্তভোগী জাকিরের বাসায় ভাংচুর চালায়।
এসব ঘটনার পর জাকির বৃহস্পতিবার রাত সাড়ে ১১টায় থানায় অভিযোগ করেন। কিন্তু তখন পুলিশ তাদের সহায়তায় যায়নি। শুক্রবার দুপুরে আলম ও রাকিবুল ফের জাকিরদের ঘরে হামলা চালান। পরে জাকির থানায় গিয়ে অভিযোগ করেন।
এ ঘটনায় বিচার দাবি করেছেন বাড়িওয়ালা গাজী আলমগীর হোসেন। তিনি বলেন, তুচ্ছ একটি ঘটনাকে বড় করে আলম ও রাকিবুল ভাড়াটিয়া গুণ্ডা এনে হামলা চালিয়েছে। আমি হামলাকারীদের বিচার চাই।