অন্তঃসত্ত্বা নারীকে লাথি মেরে গর্ভের সন্তান নস্ট করার অভিযোগ পাওয়া গেছে। ঘটনাটি ঘটেছে ফতুল্লা থানার দক্ষিণ শিয়াচর এলাকায়।
এ ঘটনায় সোমবার (২ মে) দুপুরে নির্যাতিত ওই নারীর স্বামী আল-আমিন (৩৭) বাদী হয়ে ছয় জনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাতনামা আরো ৫/৬ জন কে অভিযুক্ত করে ফতুল্লা মডেল থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছে।
মামলায় উল্লেখ্য করা হয়, জমি সক্রান্তের বিরোধের জের ধরে অভিযুক্তদের সাথে বাদীর দ্বন্দ্ব চলে আসছিলো। এরই ধারাবাহিকতায় গত ২৩ এপ্রিল বিকেলে অভিযুক্ত আসামী খলিল (৪২), স্ত্রী বিউটি (৩৫), হাসনাবানু (৫৪), শারমীন (৩৩), শিউলি (৩৫) ও নিরব (৫৪) সহ অজ্ঞতনামা আরো ৫/৬ জন দেশীয় অস্ত্র-সস্ত্রে সজ্জিত হয়ে লোহার রড, ছুরি, চাকু, হকিষ্টিক নিয়ে বাদীর কোতালেরবাগস্থ বায়তুল ফালাহ্ শহিদুল্লাহ সরকারের ভাড়াটিয়া বাসায় গিয়ে বাদী কে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করতে থাকে।
এক পর্যায়ে বাদীকে মারধর শুরু করে। বাদী কে রক্ষার্থে তার তিন মাসের অন্তস্বত্ত্বা স্ত্রী ফেরদৌসী আক্তার (২৩) এগিয়ে এলে তাকেও মারধর করে এক পর্যায়ে গর্ভাস্থলে লাথি মারে। গর্ভাস্থলে লাথি মারার কারণে বাদীর স্ত্রী জ্ঞান হারিয়ে ফেলে এবং গর্ভপাত ঘটতে থাকে। স্ত্রীর অবস্থা আশঙ্কা জনক দেখিয়া ও রক্তপাত ঘটিতে দেখিয়া উক্ত বিবাদীগণ আমাকে প্রাণ নাশের হুমকি দিয়া দ্রুত ঘটনাস্থল হইতে চলিয়া যায়।
পরে বাদীর স্ত্রীকে নারায়ণগঞ্জ ভিক্টোরিয়া হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য নিয়ে যাওয়া হয়। পরবর্তীতে একই দিন রাত নয়টার দিকে বাদীর মেয়ে ও বাবা মারধর করার বিষয়টি জানার জন্য অভিযুক্ত খলিলের বাড়িতে গেলে অভিযুক্তরা বাদির বাবা ও মেয়েকে মারধর করে।