ফতুল্লা থানা আওয়ামীলীগের কার্যকরী কমিটির সদস্য মজিবুর গং ৪৫ লাখ ৪৩ হাজার টাকা আত্মসাত করার পায়তারা করছে বলে অভিযোগ করেছেন তারই আপন ছোট বোন ফাহমিদা শারমিন খান। শুধু তাই নয় পৈত্রিক সূত্রে পাওয়া বোনদের জমিও আত্মসাত করেছেন মজিবুর ও তার ভাই জুয়েল। ফারমিদা আরও অভিযোগ করেন, মজিবুর ও জুয়েল কোন ব্যবসা বা চাকরী করে না। তাদের আয়ের একমাত্র উৎস এলাকায় চাঁদাবাজি, ভূমি দখল এবং বিভিন্ন মানুষের থেকে বিভিন্ন উপায়ে টাকা আত্মসাত করা। এই দুই চাঁদাবাজ-ভূমিদস্যুদের ভয়ে এলাকাবাসী আতঙ্কিত এবং ভুক্তভোগী অনেকে মুখ খোলা থেকে পিছু পা হয়ে আছে।
দেড় মাসে ৪২ লাখ টাকা প্রদান করলেও বাকি ৪৫ লাখ ৪৩ হাজার টাকা না দিয়ে উল্টো বিভিন্ন ধরনের হুমকি প্রদান করে আসছে। মজিবুর ফতুল্লার মধ্য সস্তাপুর হাজী লাল চান মিয়ার ছেলে। মজিবুর ও তার ছোট ভাইয়ের নানা অপকর্ম তুলে ধরে ১২ মে সামাজিক যোগযোগ মাধ্যম ফেসবুকে একটি পোস্ট (স্ট্যাটাস) দিয়ে নারায়ণগঞ্জ-৪ আসনের সংসদ সদস্য শামীম ওসমানের দৃষ্টি আকর্ষণ করেছেন তাদেরই ছোট বোন ফাহমিদা শারমিন খান।কিন্তু ১২ মে ফেসবুকে পোস্ট (স্টাটাস) দেয়ার কারণে মজিবুর রহমান ফাহমিদা শারমিন এবং তার স্বামীকে অকথ্য ভাষায় গালাগালসহ গুম-হত্যা করার হুমকি প্রদান করেন। যার ফলে তারা স্বামী-স্ত্রী জীবনের নিরাপত্তহীনতায় ভুগছেন উল্লেখ করে ১৩ মে ফাহমিদা শারমিন খান আরেকটি পোস্ট দেন ফেসবুকে। সেখানে তিনি লিখেন, আওয়ামীলীগের নামধানী নেতা মুজিবুর-জুয়েল দুভাই কোনো ব্যবসা করেন না, না করেন চাকুরী। তাদের আয়ের একমাত্র উৎস এলাকায় চাঁদাবাজি, ভূমি দখল এবং বিভিন্ন মানুষের থেকে বিভিন্ন উপায়ে টাকা আত্মসাত করা। তার আপন আরেক ছোট বোন থেকে ১ লাখ ৫০ হাজার টাকা হাতিয়ে নেওয়ার পর সে পাওনা টাকা চাইতে গেলে হুমকি দিয়ে বাড়ি থেকে বের করে দেয়। এসব ঘটনার মূল হোতা মোঃ মুজিবুরের শশুর আরব আলীকে আমার বড় মেয়ে ১ মাস আগে সব ঘটনা এবং আমার স্বামীর ক্যান্সারের কথা জানিয়ে শত আকুতি করে সেই পাওনা টাকা ফেরত চাইলে মুজিবুর তার শশুরকে অবজ্ঞা করে টাকা ফেরতের কথা অস্বীকার করে।
ফেসবুকে দেয়া ফারমিদা শারমিনের দুটি পোস্ট হুবহ তুলে ধরা হলো-
১. আওয়ামীলীগের নেতা নামধারী ফতুল্লা থানার কার্যকরী সদস্য মুজিবুর রহমান তার আপন ছোটো বোন ফাহমিদা শারমিন খান শিখা-এর স্বামী মোঃ আতিকুর রহমান খান আব্বাসের নিকট হইতে আজ থেকে ৪ বছর আগে মেসার্স জুয়েল স্টিল রি-রোলিং মিল-এ এম.এস. স্ক্রাব বাবদ ৮৭ লক্ষ ৪৩ হাজার টাকার মাল গ্রহণ করে। দেড় মাসে ৪২ লক্ষ টাকা প্রদান করে। বাকি ৪৫ লক্ষ ৪৩ হাজার টাকা আজও পর্যন্ত না দিয়ে বিভিন্ন ধরনের হুমকি প্রদান করে। মোঃ মুজিবুর তার আপন ছোট বোনের কল রিসিভ করেন না। তার স্ত্রীর নাম্বারে কল দিলে মেয়ে কে দিয়ে রিসিভ করায়। এ টাকা মোঃ শাহজাহান , মোঃ মুজিবর এবং মোঃ জুয়েল আত্মসাতের পায়তারা করে। বিভিন্ন সময় তারা জমি বিক্রয়, তাদের স্ত্রীর স্বর্ণ বিক্রয়, মুজিবর-জুয়েল এর বাড়ি বিক্রয় করে পরিশোধ করবে বলে প্রতিশ্রুতি দেয়।
আর আমি, মোঃ আতিকুর রহমান খান আব্বাস, একজন ক্যান্সারে আক্রান্ত রোগী এ সম্পর্কে অবগত থেকেও তারা টাকা ফেরত না দিয়ে টালবাহানা শুরু করে।টাকার কারণে সঠিকভাবে প্রয়োজনীয় চিকিৎসা করাতে পারছিনা।
যার কাছে ছোটো বোন এবং বোন জামাতার মূল্যায়ন নেই তার মানুষ হিসেবে মূল্যায়ন পাওয়াটা কী প্রশ্নের মুখে পরে নাহ?
তার কাছে বঙ্গবন্ধুর হাতের তৈরি বাংলাদেশ আওয়ামীলীগ ফতুল্লা শাখা কীভাবে মূল্যায়ন-নিরাপত্তা পাবে? এ প্রশ্ন মাননীয় সংসদ সদস্য শামীম ওসমান সাহেবের নিকট জানতে চাই।
১৩ মে এর পোস্ট
আস্সালামু আলাইকুম
বিঃ দ্রঃ আমার ক্যান্সারে আক্রান্ত স্বামী মোঃ আতিকুর রহমান খান আব্বাস ৪বছর ধরে ব্যাবসা বাবদ ৪৫ লক্ষ ৪৩ হাজার টাকা ও জমি বাবদ ২ লক্ষ টাকা মোঃ মুজিবুর ও মোঃ জুয়েল হতে পাওনা।
এই মুজিবুর-জুয়েল দুভাই কোনো ব্যাবসা করেন না, না করেন চাকুরী। তাদের আয়ের একমাত্র উৎস এলাকায় চাঁদাবাজি , ভূমি দখল এবং বিভিন্ন মানুষের থেকে বিভিন্ন উপায়ে টাকা আত্মসাত করা। তার আপন আরেক ছোটোবোন থেকে ১ লক্ষ ৫০ হাজার টাকা হাতিয়ে নেওয়ার পর সে পাওনা টাকা চাইতে গেলে হুমকি দিয়ে বাড়ি থেকে বের করে দেয়।
তারও এক বছর আগে মুজিবুর-জুয়েলের বড় ভাইয়ের নিজ বাসভবনে চারবোন ও বড় ভাই-ভাবীর উপস্হিতিতে মুজিবুর জমি বিক্রি করে টাকা দিবে বলে প্রতিজ্ঞা করে এরপর তারা বড় ভাইদেরও মানে না।
ওয়ারিশ হিসেবে আমাদের পাওনা জমির ওপর আলিশান বাড়ি করে মুজিবুর-জুয়েল বসবাস করছে। তাহলে পৈত্রিক সম্পত্তি থেকে কী আমরা বোনেরা বঞ্চিত হবো? আজও পর্যন্ত পৈত্রিক সূত্রে পাওয়া সম্পত্তি এ দুভাই আত্মসাত করছে।
এই দুই চাঁদাবাজ-ভূমিদস্যুদের ভয়ে এলাকাবাসী আতঙ্কিত এবং ভুক্তভুগি অনেকে মুখ খোলা থেকে পিছু পা। আপন বোন ও বোন জামাতার টাকা আত্মসাত করে তাদের প্রাণে মেরে ফেলার হুমকি যারা দেয় তাদের দ্বারা সমাজসেবা ও রাজনীতি করা কী সম্ভব? আমি এর বিচার চাই মাননীয় সংসদ সদস্য এ.কে.এম. শামীম ওসমান সাহেবের কাছে।