নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লা মডেল থানা পুলিশ ঝর্না আক্তার (২২) নামক এক গৃহবধুর লাশ উদ্ধার করেছে। শুক্রবার (৬ মে) সকালে নিহতের লাশ ফতুল্লা থানার প্রতাব নগরের নিজ বাসা থেকে উদ্ধার করে পুলিশ।
পুলিশ নিহতের স্বামী আলমগীর (২৭) কে আটক করে ৫৪ ধারায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে দুপুরে আদালতে সোপর্দ করেছে। নিহত ঝর্না আক্তার ফতুল্লা থানার প্রতাব নগরের বাবুল মিয়ার মেয়ে। এ ঘটনায় বাবুল মিয়া ফতুল্লা মডেল থানায় একটি অপমৃত্যু মামলা দায়ের করেন।
নিহতের বাবা জানান, সাত বছর পূর্বে প্রতাব নগরের মৃত আবুল হোসেনের ছেলের আলমগীরের সাথে তার মেয়ে ঝর্না আক্তারের বিয়ে হয়। তাদের সংসারে আবু বক্কর ওরফে আরিয়ান (৫) নামক একটি ছেলে সন্তান রয়েছে। গত ৭/৮ দিন পূর্বে মেয়ে ও স্বামীর মধ্যে ঝগড়া হয় পরবর্তীতে তা সমাধানও হয়।
ঈদের পরদিন বুধবার রাত নয়টার দিকে তাদের মধ্যে আবারো ঝগড়া হলে মেয়ের স্বামী আলমগীর রাগ করে রাতে বাসা থেকে বের হয়ে যায়। বৃহস্পতিবার দিবাগত রাত দেড়টার দিকে মেয়ের স্বামী আলমগীর বাসায় এসে বাহির থেকে কৌশলে ঘরের দরজা খুলে ভিতরে প্রবেশ করলে কিছু একটার সাথে ধাক্কা খায়।
পরে আলমগীর তার সাথে থাকা গ্যাস লাইটার জ্বালিয়ে তার ঘরের বাশের আড়ার সাথে গলায় গামছা পেচানো তার মেয়ের লাশ দেখতে পায়।
রাত তিনটার দিকে আলমগীরের বোন তাকে ফোন করে তার মেয়ের মৃত্যুর সংবাদ প্রদান করে। পরে ঘটনাস্থলে এসে সে জানতে পারে তার মেয়ে ঘরের বাশের আড়ার সাথে গলায় গামছা পেচিয়ে আত্নহত্যা করেছে।
এ বিষয়ে ফতুল্লা মডেল থানার উপপরিদর্শক নজরুল ইসলাম জানায়, ঝর্না আক্তার নিহতের ঘটনায় নিহতের বাবা একটি অপমৃত্যু মামলা দায়ের করেছে।
তবে নিহতের স্বামীর দেওয়া তথ্য ও বিভিন্ন সময় অসংলগ্ন কথা বলায় সন্দেহজনক হওয়ায় এবং ফাঁসের জায়গায় গলাতে গোলাকার চিহ্ন থাকায় বিষয়টি সন্দেহ জনক হওয়ায় তার স্বামী আলমগীর (২৭) কে আটক করে ৫৪ ধারায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে।
লাশ ময়নাতদন্তের জন্য হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। ময়নাতদন্তের রিপোর্ট পেলে পরবর্তী আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে বলে তিনি জানান।
তিনি আরো জানান, প্রাথমিক তদন্তে জানা গেছে আলমগীর মাদকাসক্ত এবং মাদক বিক্রেতা।