নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লায় দেশীয় ধারালো অস্ত্রসহ দেওভোগ মুলিবাশ এলাকার সন্ত্রাসী সাল্লু ও রাজু বাহিনীর ছয় সদস্যকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
সোমবার (৫ আগস্ট) রাতে ফতুল্লার বাশমুলি তিন রাস্তা মোড়ে অভিযান চালিয়ে গ্রেফতার করা হয়।
এ সময় তাদের থেকে দেশীয় দুটি রামদা উদ্ধার করে পুলিশ।
গ্রেফতাররা হলেন- ফতুল্লা মডেল থানার ভোলাইল গেদ্দার বাজার এলাকার ওসমান গনির ভাড়াটিয়া সোলেয়মানের ছেলে রিফাত (১৯), একই এলাকার তারা মিয়ার ভাড়াটিয়া আমাদুলের ছেলে মো. শাহিন (১৯), মুসলিমনগর নয়াবাজার এলাকার হাকিমের বাড়ীর ভাড়াটিয়া দুলাল মিয়ার ছেলে মামুন (২১), ভোলাইল শান্তিনগর এলাকার আবু তাহেরের বাড়ীর ভাড়াটিয়া গুলজারের ছেলে মো. রাজু (১৭), দেওভোগ মাদরাসা সংলগ্ন গিয়াস উদ্দিন উকিলের বাড়ীর ভাড়াটিয়া সাজু মিয়ার ছেলে সামাদ (১৯) ও একই এলাকার জামাল মুদির ভাড়াটিয়া মৃত আলমাস মিয়ার ছেলে সাহিন (৪৬)।
এ ঘটনায় পুলিশ বাদী হয়ে গ্রেফতার ছয়জনসহ সাল্লু বাহিনীর প্রধান সাল্লু, রাজু বাহিনীর প্রধান রাজুকে আসামি করে মামলা দায়ের করেছে।
পুলিশ ও স্থানীয় এলাকাবাসীর তথ্য মতে, এলাকার আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে সাল্লু বাহিনী ও রাজু প্রধান বাহিনীর মধ্যে গত এক মাসের ও বেশী সময় ধরে প্রতিনিয়ত ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ার মতো ঘটনা ঘটেছে। এ সময় উভয় পক্ষের সন্ত্রাসীরা হাতে দেশীয় তৈরি ধারালো অস্ত্র, আগ্নেয়াস্ত্রসহ বোমার ব্যবহার করে এলাকায় আতংকের সৃষ্টিসহ সাধারণ মানুষের বাড়ি-ঘর, ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে অহেতুক হামলা চালিয়ে ভাংচুর করে। গত এক মাসে এ দুই বাহিনীর বিরুদ্ধে ফতুল্লা মডেল থানায় বেশ কয়েকটি মামলা হয়। এতে বেশ কয়েকজন সন্ত্রাসী গ্রেফতার হলেও মূল হোতারা রয়ে গেছে ধরাছোয়ার বাইরে।
ফলে দু একদিন পরপরই এই দুই সন্ত্রাসী বাহিনী নিজ নিজ ক্ষমতা বা শক্তি জাহির করতে একে অপরের সঙ্গে সংঘর্ষে লিপ্ত হয়। এরই ধারাবাহিকতায় সোমবার রাত এগারোটার দিকে উভয় গ্রুপের সন্ত্রাসীরা দেশীয় অস্ত্র নিয়ে একে অপরের সঙ্গে সংঘর্ষে লিপ্ত হয়। এ সময় বেশ কয়েকটি বোমার বিস্ফোরণও করে তারা।
এরপরেই খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে উভয় পক্ষকে ধাওয়া করে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। এ সময় পুলিশ দেশীয় অস্ত্রসহ ছয় জনকে গ্রেফতার করে। তবে সোমবার রাতেও পালিয়ে যেতে সক্ষম হয় বাহিনী প্রধান সাল্লু ও রাজু।
ফতুল্লা মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শেখ রিজাউল হক দিপু জানায়, আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে সাল্লু ও রাজু বাহিনী সংঘর্ষে লিপ্ত হয়। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে ধারালো অস্ত্রসহ ছয়জনকে গ্রেফতার করে। এ ঘটনায় পুলিশ বাদী হয়ে দ্রুত বিচার আইনে মামলা দায়ের করেছে। পালিয়ে যাওয়া সব আসামিদের গ্রেফতারের চেষ্টা করছে পুলিশ।