নগর সংবাদ।।নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লায় মো. ইমন হত্যা মামলায় চারজনের মৃত্যুদণ্ড ও দুজনের যাবজ্জীবন কারাদণ্ডাদেশ দিয়েছেন আদালত।
রোববার (২০ মার্চ) দুপুরে অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক সাবিনা ইয়াসমিন এ রায় ঘোষণা করেন। রায়ে চারজনকে খালাস দেওয়া হয়।
বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন আদালতের পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) অ্যাডভোকেট জাসমিন আহমেদ।
মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্তরা হলেন- মো. নাহিদ (২১), মো. সিরাজ মিয়া (৪৫), সেন্টু মিয়া (২৫) ও আহম্মদ আলী (৫৫)। যাবজ্জীবন- সালমা বেগম (৫২), হুসনে আরা (৪৭)। এছাড়া মামলা থেকে আয়েশা, মামুন, খোরশেদ আলম ও মন্টুকে খালাস দেওয়া হয়।
ইমন হোসেন (১৩) ফতুল্লার চরাঞ্চল বক্তাবলীর কানাইনগর উচ্চ বিদ্যালয়ের ষষ্ঠ শ্রেণির ছাত্র ছিল। সে চর রাধানগর এলাকার ইসমাইল হোসেন ওরফে রমজান মিয়ার ছেলে।
আদালত সূত্রে জানা যায়, ২০১১ সালে ইমনের বড় ভাই ইকবালের (সিঙ্গাপুরপ্রবাসী) সঙ্গে চাচা আহম্মদ আলীর ঝগড়া হয়। একপর্যায়ে ইকবালের লাঠির আঘাতে আহাম্মদ আলীর মাথা ফেটে যায়। এরপর থেকেই তাদের দুই পরিবারের মধ্যে দ্বন্দ্ব চলে আসছিলো। ওই ঘটনার পরে ইকবালকে দেখে নেওয়ার হুমকি দেওয়ায় তাকে সিঙ্গাপুর পাঠিয়ে দেয় পরিবার। প্রায় দুই বছর পর ইকবালের পরিবারের ওপর প্রতিশোধ নিতে ইমনকে হত্যার পরিকল্পনা করে আহাম্মদ আলী। ২০১৩ সালের ১৩ জুন ইমনকে বাড়ি থেকে ডেকে নিয়ে হত্যার পর মরদেহ ৯ টুকরা করে ফেলে দেওয়া হয়। পরে ২২ জুন বাড়ির অদূরে একটি ক্ষেত থেকে টুকরা করা মরদেহ উদ্ধার করা হয়।
আদালতের অতিরিক্ত পাবলিক প্রসিকিউটর (এপিপি) জাসমিন আহমেদ বলেন, এ রায়ে আমরা সন্তুষ্ট। আশা করি উচ্চ আদালত এ রায় বহাল রাখবেন।