সন্ত্রাসী কর্মকান্ডের অভিযোগে নারায়ণগঞ্জ-৪ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য শামীম ওসমান ও তার বন্ধু ঘনিষ্ঠ সহযোগী খালেদ হায়দার খান কাজলসহ ৩৬০ জনের বিরুদ্ধে ফতুল্লা থানায় মামলা হয়েছে। বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন চলাকালে নারায়ণগঞ্জ জেলা পরিষদ ভবনের সামনে ককটেল বিস্ফোরণ ও গুলি বর্ষণের অভিযোগে বৃহস্পতিবার সকালে মোঃ আহাম্মদ আলী নামে এক ব্যক্তি বাদী হয়ে এ মামলাটি দায়ের করা হয়।মামলার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন ফতুল্লা মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোঃ নুরে আযম মিয়া পিপিএম। তিনি জানান, ককটেল ও মারাত্মক অস্ত্রে সজ্জিত হয়ে হত্যার উদ্দেশ্য ও হুকুমদাতার হুকমে গুলি বর্ষণ ও আহত করার অভিযোগে ৬০ জনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাত আরও ৩শ জনকে আসামী করে মামলাটি করা হয়েছে। মামলায় যাদের আসামী করা হয়েছে তারা হরেন, সাবেক সংসদ সদস্য শামীম ওসমান, নারায়ণগঞ্জ চেম্বার অব কমার্সের সদস্য সাবেক হওয়া সভাপতি খালেদ হায়দার খাঁন কাজল, শামীম ওসমানের ছেলে অয়ন ওসমান, ভাতিজা আজমেরী ওসমান, নারায়ণগঞ্জ মহানগর আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক শাহ নিজাম, ফতুল্লা থানা যুবলীগের সভাপতি মীর সোহেল আলী ও তার ছেলে শুভ, থানা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি ফরিদ আহমেদ লিটন, ৭নং ওয়ার্ড যুবলীগের সভাপতি ইকবাল হোসনে, সাধারণ সম্পাদক শাহ আলম ওরফে বুইট্টা শাহ আলম, ছাত্রলীগ নেতা ইসহাক, শ্রমিকলীগ নেতা নজরুল ইসলাম, নারায়ণগঞ্জ সদর জাতীয় যুব সংহতীর সহসভাপতি মোঃ সুজন, ফতুল্লা থানা শ্রমিকলীগের সভাপতি মৃত আলমাসের ছেলে মোঃ ইব্রাহিম খলিল ও মোঃ বাদশা মিয়া, বঙ্গবন্ধু সৈনিকলীগ ফতুল্লার সম্পাদক মোঃ সজিব, কাশিপুর ইউনিয়ন যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক খবির উদ্দিন খোকন, ফতুল্লা থানা যুবলীগ নেতা মোঃ বাচ্চু, ফতুল্লা থানা ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি শরিয়ত উল্লাহ বাবু, কাশিপুর ইউনিয়ন যুবলীগ নেতা মোঃ জামাল ও আক্তার হোসেন, সস্তাপুরের ইউসুফ আহম্মদ, নন্দলালপুরের মোঃ মাসুম, মাহমুদপুরের মোঃ আলমগীর হোসেন, জিএম আমির হোসেন সাগর, ধর্মগঞ্জের মোঃ মিলন হাওলাদার, দেওভোগ মাদ্রাসা রোড এলাকার বিল্লাল হোসেন, মাসদাইরের মোস্তফা ভান্ডারী, পূর্ব গোপালনগরের ইসমাইল, ফালান মুদি, ফয়সাল ও কাশেম সম্রাট, কুতুবপুর রসুলবাগের ইব্রাহিম খান, উত্তর নন্দলালপুরের নেট রনি, লামাপাড়ার মোঃ সেলিম, লালখা এলাকার আইয়ুব আলীর ছেলে ডালিম ওরফে ডিশ ডালিম, একই এলাকার সজল, ভূইগড়ের মোঃ আনোয়ার, জয়নাল আবেদীন ফারুক ওরফে কলার ফারুক, উত্তর ভূইগড়ের মোঃ রাজিব, আজমতের বাড়ির সাজু ও রাজু, কাঠেরপুল এলাকার সোহেল,রামারবাগের ইমন, হরিহরপাড়া এলাকার শামসুজ্জামান, মাসদাইরের খাজা ইরফান আলী, পশ্চিম লামাপাড়ার মোঃ ডালিম ও আঃ মোতালিব, দেওভোগের আঃ লতিফ, লামাপাড়ার মোঃ আল-আমিন বেপারী, বক্তাবলীর সন্ত্রাসী সামেদ আলী ও তার ৪ ছেলে গনি, রাজিব, সজিব ও হৃদয়, একই এলাকার সাইদুল, আকরাম, মিলন, গোপালনগরের মহিউদ্দিন মেম্বার ও আফজাল।