ফরিদপুরের ভাঙ্গা থানার সহকারী উপ-পরিদর্শক (এএসআই) সজল মাহমুদের (৪০) বিরুদ্ধে ধর্ষণের অভিযোগ পাওয়া গেছে। ভাঙ্গা উপজেলা সদরের এক নারী (৩৩) নারী ও শিশু নির্যাতন দমন বিশেষ আদালতে এ অভিযোগ করেছেন। সোমবার (১৩ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে ফরিদপুরের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন বিশেষ আদালতের বিচারক হাফিজুর রহমান অভিযোগটি আমলে নেন। পরে এটি মামলা হিসেবে নিতে ভাঙ্গা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাকে (ওসি) নির্দেশ দেন। লিখিত অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, ওই নারীর বাবা-মা মারা গেছেন। তিনি অবিবাহিত। তারা দুই বোন ও এক ভাই। ২০০৬ সালে তারা দুই বোন জীবিকার তাগিদে সৌদি আরব যান। ওই সময় তার ছোট ভাই কিডনি রোগে আক্রান্ত হয়ে মারা যান। পরে তিনি দেশে এসে স্থায়ীভাবে বাড়িতে বসবাস করে আসছেন।
অভিযোগে আরও বলা হয়, গত ৩০ জানুয়ারি ওই নারীকে বিয়ের প্রলোভনে ভাঙ্গা বাজারে নিয়ে একটি মেডিকেল সেন্টারে রেখে পালিয়ে যান এএসআই সজল মাহমুদ। গত ১২ ফেব্রুয়ারি ফরিদপুর জেনারেল হাসপাতালে আলট্রাসনোগ্রাম করে জানতে পারেন তিনি তিনমাসের অন্তঃসত্ত্বা। পরে তিনি থানায় গিয়ে মামলা করতে গেলেও মামলা নেয়নি বলে অভিযোগ। বাদীপক্ষের আইনজীবী মানিক মজুমদার বলেন, আদালত অভিযোগটি আমলে নিয়ে মামলা হিসেবে গ্রহণের জন্য ভাঙ্গা থানার ওসিকে নির্দেশ দিয়েছেন। এ বিষয়ে অভিযুক্ত এএসআই সজল মাহমুদ বলেন, ‘ওই নারীর সঙ্গে আমার বিয়ে হয়েছে। সে আমার স্ত্রী। বিয়ের কাবিননামাও আছে।’ তিনি আরও বলেন, ‘আমার আগের স্ত্রী আছে। তার সম্মতিতেই দ্বিতীয় বিয়ে করেছি। সে কেন আদালতে ধর্ষণের অভিযোগে এতদিন পর মামলা করলো বুঝতে পারছি না। তবে মামলায় যেসব অভিযোগ আনা হয়েছে তা সঠিক নয়। আমি তার সঙ্গে সংসার করবো।’ ভাঙ্গা থানার ওসি জিয়ারুল ইসলাম বলেন, ‘অভিযোগের সব তথ্য সঠিক নয়। অনেক মিথ্যা ও ভিত্তিহীন অভিযোগ আনা হয়েছে। থানায় এমন কোনো ঘটনা ঘটেনি। থানার বাইরে যদিও কিছু হয়ে থাকে তা তাদের ব্যক্তিগত বিষয়। আমি এ বিষয়ে এএসআই সজল মাহমুদের কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেছেন, ওই নারী তার বিবাহিত স্ত্রী।