ফরিদপুরের বোয়ালমারী উপজেলায় ২৫ কেজি গাঁজাসহ দুই মাদককারবারিকে আটক করেছে পুলিশ। এ সময় তাদের কাছ থেকে গাঁজা ছাড়াও মাদক সেবনের সরঞ্জাম, মোবাইল ফোনসহ নগদ টাকা জব্দ করা হ
পুলিশ সুপারের কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত এ প্রেস ব্রিফিং-এ উপস্থিত ছিলেন- অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (অপরাধ) মোহাম্মদ ইমদাদ হোসাইন, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) সুমন রঞ্জন সরকার, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ডিএসবি) মো. হেলাল উদ্দিন ভূঁইয়া, বোয়ালমারী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ আব্দুল ওয়াহাবসহ প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক মিডিয়ার গণমাধ্যম কর্মীরা।
পুলিশ সুপার মো. শাহজাহান জানান, বৃহস্পতিবার (০৮ সেপ্টেম্বর) দিবাগত রাত সাড়ে ১১টার দিকে ফরিদপুরের বোয়ালমারী উপজেলার চতুল ইউনিয়নের পোয়াইল বিশ্বাসপুর এলাকার একটি ইটভাটার পাশে অভিযান চালিয়ে তাদের আটক করা হয়।
আটক মাদককারবারিরা হলেন- বোয়ালমারী উপজেলার চতুল ইউনিয়নের বিশ্বাসপুর গ্রামের বাবুল শেখের ছেলে আব্দুল কুদ্দুস (২৩) ও সিরাজগঞ্জের উল্লাপাড়া উপজেলার লাইড়ি-মোহনপুর গ্রামের আব্দুল সত্তার খানের ছেলে জুয়েল খান (৩৬)।
থানা সূত্রে জানা যায়, বৃহস্পতিবার দিবাগত রাতে উপজেলার বিশ্বাসপুর গ্রামে বোয়ালমারী পৌরসভার সাবেক মেয়র আব্দুস শুকুর শেখের ভাটার পাশে মাদকের বড় চালান নিয়ে কয়েকজন মাদককারবারি অবস্থান করছে। এমন খবরের ভিত্তিতে সেখানে অভিযান চালিয়ে গাঁজার ৮টি প্যাকেটসহ দুই কারবারিকে আটক করে পুলিশ। এ সময় তাদের কাছ থেকে ২৫ কেজি গাঁজা, মাদক সেবনের সরঞ্জাম, মোবাইল ফোনসহ নগদ টাকা জব্দ করা হয়।
অভিযান পরিচালনাকারী থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) মো. মামুন ইসলাম জানান, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে জানা যায় আটক দুইজনের মধ্যে জুয়েল খান পেশাদার মাদকবিক্রেতা। তিনি সিরাজগঞ্জ থেকে এসে ভাড়াবাড়িতে থেকে বেশ কিছুদিন ধরে বোয়ালমারীসহ আশপাশের বিভিন্ন এলাকায় গাঁজাসহ অন্যান্য মাদকদ্রব্য সরবরাহ করে আসছিলেন। গোপন সংবাদের ভিত্তিতে অভিযান চালিয়ে তাদের আটক করা হয়।
বোয়ালমারী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ আব্দুল ওয়াহাব জানান, আটকদের নামে বোয়ালমারী থানায় মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে। যার মামলা নম্বর ১১। মামলার পর আসামিদের আদালতে পাঠানো হয়েছে। অধিকতর জিজ্ঞেসাবাদের জন্য তাদের সাতদিনের রিমান্ড চাওয়া হবে বলেও জানান পুলিশের এ কর্মকর্তা।