নারায়ণগঞ্জের বন্দরে আয়েশা ইপিএস ইনসুলেশন লিমিটেড নামে একটি ককসিট কারখানায় ডাকাতির ঘটনা ঘটেছে।
মঙ্গলবার (১৮ জুন) দিনগত রাত আড়াইটায় বন্দর থানার লক্ষণখোলা মাদরাসা সংলগ্ন ওই প্রতিষ্ঠানে এ ঘটনা ঘটে।
এ সময় অজ্ঞাতপরিচয় মুখোশধারী ১০ থেকে ১২ জনের ডাকাত দল কারখানার দারোয়ানদের অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে হাত-পা বেঁধে মারধর করে সিকিউরিটি গার্ড রুমে আটকে রেখে মেশিন ও ক্যাবলসহ মূল্যবান জিনিসপত্র পিকআপভ্যানে তুলে নিয়ে পালিয়ে যায়।
কারখানার সিসি ক্যামেরার ফুটেজে দেখা যায়, ডাকাত দল কারখানায় প্রবেশ করেই দারোয়ানদের রুমে প্রবেশ করে এবং অন্যরা কারখানার ভেতরে ঢুকে মেশিন ও ক্যাবল কেটে নিয়ে পিকআপ ভ্যানে তুলে নিয়ে চলে যায়। প্রায় আধাঘণ্টা ব্যাপী ডাকাত দল কারখানায় তাণ্ডব চালায়।
এ ব্যাপারে কারখানার মালিক মো. কামাল হোসেন বলেন, ভোরে নামাজ আদায় করতে ঘুম ভাঙলে স্থানীয় মেম্বারের ফোন কলে জানান আমার কারখানায় ডাকাতি হয়েছে। আমি নামাজ আদায় করে লোকজন নিয়ে কারখানায় এসে দারোয়ানদের হাত-পা বাঁধা অবস্থায় পড়ে থাকতে দেখি। আমি তাদের হাত-পায়ের বাঁধন খুলে উদ্ধার করে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে পুলিশে খবর দেই। পুলিশ এসে কারখানায় ডাকাতির ঘটনা তদন্ত করে। ডাকাতরা প্রায় ২৫ লাখ টাকার মালামাল নিয়ে গেছে বলে দাবি করেন কামাল।
এ ব্যাপারে দারোয়ান ইউসুফ আলী ও আফিজ মিয়া জানান, তারা রাত ২টার পরও কারখানার অভ্যন্তরে ঘুরে এসে গার্ড রুমে প্রবেশ করেন। এর কিছুক্ষণ পর মুখোশধারী তিনজন ধারালো অস্ত্র নিয়ে তাদের গলায় ছুরি ধরে রেখে তাদের কাছ থেকে চাবি ছিনিয়ে নেয়। পরে ডাকাতরা তাদের হাত-পা বেঁধে মারধর করে। তারা প্রাণের ভয়ে চিৎকার দিতে পারেননি। ডাকাতরা গেট খুলে কারখানায় একটি গাড়ি প্রবেশ করিয়ে তাতে মালামাল নিয়ে যায়।
এ ব্যাপারে বন্দর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) গোলাম মোস্তফা বলেন, খবর পেয়ে পুলিশ পাঠিয়েছি। এ ঘটনায় মামলা হচ্ছে। সেই সঙ্গে পুলিশ আসামিদের গ্রেপ্তার অভিযান অব্যাহত রেখেছে।
বন্দর থানার উপ পরিদর্শক (এসআই) বিল্লাল হোসেন বলেন, আমি এসে সিসিটিভি ফুটেজ সংগ্রহ করেছি এবং কি কি মালামাল নিয়ে গেছে তা তদন্ত করছি। মামলা রুজু হওয়ার পর আরও পদক্ষেপ নেওয়া হবে।