বন্দরে নিখোঁজের ৪ দিন পর যুবকের লাশ উদ্ধার, স্বেচ্ছাচারি এসআই প্রত্যাহার কেন -আসামী করা হয়নি
বন্দর প্রতিনিধি: বাবু হত্যার ঘটনায় বাদীসহ অন্যরা আসামী হলে দারোগা বাকি কেন! আটককৃতরা বাদী, ও কিছু আসামী বিচার নিয়ে কাল ক্ষেপণ করেছে, আর দারোগা কিন্তু উল্টো ভূমিকা পালেন করেছে।
দারোগা রওশন ফেরদৌস পুলিশের লোক বলে প্রত্যাহার করেছে। আসামী করা হয়নি। তবে এমন একটি নির্মম ঘটনায় শুধু প্রত্যাহারে কি রেয়াই পেয়ে যাবে, নাকি প্রশাসিকভাবে কঠোর ব্যবস্থা নিবে।বন্দরে এক নারীর অভিযোগে প্রতিপক্ষের ধাওয়ায় নিখোঁজের ৪দিন পর মো.বাবু (২৫) নামে এক যুবকের লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ।
বুধবার বিকালে নবীগঞ্জ বাগবাড়ি এলাকার ডোবা থেকে লাশ উদ্ধার করা হয়। এ ব্যাপারে নিখোজ বাবুর মা লিলি বেগম বাদী হয়ে ৮ জনকে আসামী করে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। এ ঘটনায় অভিযোগের তদন্তকারী অফিসার বন্দর ফাড়ী পুলিশের এসআই মো. রওশন ফেরদৌসের নামে স্বেচ্ছাচারিতার অভিযোগ আসায় তাকে প্রত্যাহার করা হয়েছে।
নিহত যুবক বাবু বাগবাড়ি এলাকার মো. শোভা মিয়ার ছেলে। এ ঘটনায় অভিযোগকারি হাসিনা সহ দুজনকে আটক করেছে পুলিশ। নিহত বাবুর পরিবারের ও এলাকাবাসী সূত্রে জানাগেছে, নাসিক ২৩ নং ওয়ার্ড বাগবাড়ি এলাকায় পূর্ব বিরোধের জের ধরে একই এলাকার বাবু’র বিরুদ্ধে কাউন্সিলর আবুল কাউসার আশার কাছে হাসিনা বেগম নামের এক নারী ঘটনার ৩ দিন পর বিচার দায়ের করেন। কাউন্সিলর বিচারের জন্য বাগবাড়ি এলাকার কয়েকজন কতিথ বিচারদের তাদের দায়িত্ব দেয় তার অফিসে নিয়ে যেতে। গত শুক্রবার বিচারের দিন নির্ধারন করলেও নিহত বাবুসহ বাকিরা না যেতে ইচ্ছা পোষন করলে তিনি আরো ক্ষিপ্ত হন। কাউন্সিলর বিষয়টি সুরহা না করায় ৩ দিন পর ওই নারী থানায় একটি লিখিত অভিযোগ করেন।
অভিযোগের প্রেক্ষিতে প্রতিদিন ৪/৫ বার এস আই রওশন ফেরদৌস সাদা পোশাকের অপরিচিত লোক নিয়ে অভিযান চালাতো। প্রেক্ষিতে গত রোববার রাত ৯টার দিকে বাবুকে ধরতে স্থানীয় মাসুমের বাড়িতে পুলিশ অভিযান চালায়। বাবু আত্নরর্ক্ষাতে ও ভয়ে ময়লা আর্বজনা বর্তি পুকুরে ঝাপ দেয়। পুকুরে ঝাপ দেওয়ার পর দারাগোসহ সাদা পোশাকের অপরিচিত কিছু লোক পাশের বাড়ি( মহসিন)দের ছাদে উঠে ইট দিয়ে ঢিল মারে। এরপর বাড়িতে গিয়ে ও এলাকাবাসীকে বলে ওরমত একজন মরে গেলে কিছু হবে না। খিচুড়ি রান্না করে খাওয়ানো হবে। আর আমি নিশ্চিত করে গেলাম ওই উটে বাড়িতে গিয়ে পোশাক পরিবর্তন করে পালিয়ে গেছে।
আর এটা নিয়ে কেউ বারাবাড়ি করলে ছবি তুলে নিলাম, ধরে নিয়ে মজা দেখানোর হুমকিও দিয়ে যায় বলে উপস্থিত প্রত্যক্ষদশীরা জানান। এলাকাবাসীর ভাষ্য একজন আইনের লোক হয়ে যে নিশ্চয়তা দিয়ে গেলো আবার নানা প্রকার হুমকি দিল এখন লাশ উদ্ধার হলো কিভাবে? দারোগা ফেরদৌস নানাভাবে প্রলোভিত হয়ে এমন হীন কাজ করে গোটা পুলিশ বাহিনীকে কলংকিত করেছে। বাবু হত্যার সাথে দারোগার বিচার দাবী করছি৷ তার পর থেকে নিখোঁজ বাবু
নিখোঁজ বাবুর মা লিলি বেগম গত ২ মে থানায় নিখোজ জিডি এন্টি করেন। ৪দিন পর বুধবার বিকালে ডোবায় তার মরদেহ ভেসে উঠলে স্থানীয়রা পুলিশকে খবর দেয়। এখবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে উপস্থিত লাশ উদ্ধার করে মর্গে প্রেরন করেন। এ ঘটনায় মামলা হচ্ছে। অভিযোগকারি হাসিনা সহ দুইজনকে আটক করে নিয়ে যান।
বন্দর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) দিপক চন্দ্র সাহা জানান, এ ঘটনায় অভিযুক্ত পুলিশের উপ-পরিদর্শক রওশন ফেরদৌসকে প্রত্যাহার করা হয়েছে। ঘটনার তদন্ত করে আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে। এ ঘটনায় নারী সহ দুইজনকে আটক করা হয়েছে। বাবু হত্যার ঘটনায় বাদীসহ অন্যরা আসামী হলে দারোগা বাকি কেন! আটককৃতরা বাদী, ও কিছু আসামী বিচার নিয়ে কাল ক্ষেপণ করেছে, আর দারোগা কিন্তু উল্টো ভূমিকা পালেন করেছে।
দারোগা রওশন ফেরদৌস পুলিশের লোক বলে প্রত্যাহার করেছে। আসামী করা হয়নি। তবে এমন একটি নির্মম ঘটনায় শুধু প্রত্যাহারে কি রেয়াই পেয়ে যাবে, নাকি প্রশাসিকভাবে কঠোর ব্যবস্থা নিবে। এস আই রওশান ফেরদৌস নাসিক ২৩ নং ওর্য়াড বিট পুলিশিংয়ের দায়িত্বে ছিলেন।