বন্দর প্রতিনিধি।।
নিয়াজ তুমি কার, খুটির জোর কোথায়? একাধিক মামলার আসামী হয়েও প্রশাসনের নাকের ডগায়.. অপকর্মে জড়ালে দলে স্থান নেই: সাখাওয়াত আসিফ নজরুল?? অপকর্মে জড়ালে দলে স্থান নেই: সাখাওয়াত। নিয়াজের মত বহুরূপী তাদের সাথে মিছিলের ছবি সর্বত্র ভাইরাল। বন্দরের নবীগঞ্জ জালাল সরদার বাড়ির ছেলে নিয়াজ উদ্দিন আহমেদের বিরুদ্ধে রয়েছে বিশাল পরিমাণ অপকর্মের ইতিহাস। ছাত্র জনতার বৈষম্যের বিরোধী আন্দোলনে ফতুল্লা থানা ও হেফাজত কর্মী হত্যা মামলার আসামী নিয়াজ উদ্দিন আহমেদ এখনো প্রকাশ্য বহাল তবিয়তে। প্রশাসনের নাগের সামনে দিয়ে ঘুরলেও যেন তাকে চিনে না প্রশাসন। টাকার কাছে সকলেই পুনরায় হাত বাড়াতে শুরু করেছে
গত ২০ ডিসেম্বর ফতুল্লা থানা পুলিশ নিয়াজ উদ্দিন আহমেদকে গ্রেফতার করলেও ২০ লাখ টাকার বিনিময়ে থানা থেকেই চলে আসে। তবে পুলিশ বলছে উল্টো কথা। একাধিক মামলার আসামী জামিন ছাড়া প্রকাশ্য দিবালোকেও ঘুরাফেরা করে কিভাবে?? এমনই প্রশ্ন সচেতন মহলের। মুনতাসীর মামুনের লেখা বইয়ে স্পষ্ট ভাষায় উল্লেখ্য করেছে যে মহিউদ্দিন আহমেদ অর্থাৎ নিয়াজ উদ্দিন আহমেদর পিতা ছিলেন শান্তি কমিটির সভাপতি। নিয়াজ উদ্দিন আহমেদের খুটির জোর কোথায়?? কোন সে অদৃশ্য কালো শক্তি তাকে পেছন হতে শেল্টার দিচ্ছে তাও খুঁজে বের করে প্রশাসনের কঠোর অবস্থানে যাওয়া উচিত হবে বলে মনে করেন সচেতন মহল। মহানগর বিএনপি কঠোর অবস্থানের কথা বললেও… এদিকে নারায়ণগঞ্জ মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক অ্যাডভোকেট সাখাওয়াত হোসেন খান জানিয়েছেন, জনগণের উপর অত্যাচার, সম্পদ নষ্ট, কিংবা চাঁদাবাজির মতো কোনো অপকর্মে জড়িত হলে তাদের বিএনপিতে স্থান হবে না। তিনি বলেন, “যারা এসব অপকর্মে জড়াবে, তাদের কানে ধরে দল থেকে বের করে দেওয়া হবে। এমনকি আমাদের নেতা তারেক রহমান বলেছেন, প্রয়োজনে তাদের পুলিশের হাতে তুলে দেওয়া হবে।” শনিবার (২৮ ডিসেম্বর) বিকালে ২২ নং ওয়ার্ড বিএনপির আয়োজনে এক মতবিনিময় সভায় সাখাওয়াত হোসেন এসব কথা বলেন। তিনি আওয়ামী লীগ সরকারের কঠোর সমালোচনা করে বলেন,
“গত ১৫ বছরে তিনটি নির্বাচনে জনগণ ভোট দিতে পারেনি। বিচার বিভাগ থেকে প্রশাসন—সবখানে ন্যায়বিচারের অভাব। স্থানীয় সরকার ব্যবস্থাও কুক্ষিগত ছিল আওয়ামী লীগ, যুবলীগ এবং ছাত্রলীগের নিয়ন্ত্রণে।” সাখাওয়াত আরও বলেন, “বাংলাদেশের মানুষের ভোটের অধিকার ফিরিয়ে দেওয়ার জন্য তারেক রহমান ৩১ দফা রাষ্ট্র মেরামতের কর্মসূচি দিয়েছেন। এই দফাগুলো বাস্তবায়ন হলে বাংলাদেশ একটি সুখী, সমৃদ্ধ দেশ হিসেবে গড়ে উঠবে। বিচার বিভাগে আমূল পরিবর্তন হবে এবং জনগণ ন্যায়বিচার পাবে। সুষ্ঠু নির্বাচনের মাধ্যমে তারা তাদের পছন্দের প্রার্থীকে নির্বাচিত করতে পারবে।” তিনি জানান, তারেক রহমানের ৩১ দফা কর্মসূচি প্রতিটি পাড়া-মহল্লায় জনগণের কাছে তুলে ধরার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। “এটি জনগণের ভাগ্য পরিবর্তন করবে এবং বাংলাদেশে একটি সুন্দর রাজনৈতিক পরিবেশ তৈরি করবে,” তিনি মন্তব্য করেন