শনিবার (১৮ মার্চ) বিকেল পৌনে ৩টার দিকে উপজেলার চরদুয়ানী ইউনিয়নের মুন্সিরহাট এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
আহতরা হলেন- বরগুনা জেলা গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) সদস্য মো. প্রিন্স (৩০), সোর্স সদর উপজেলার পরীরখাল এলাকার আব্দুল কুদ্দুসের ছেলে রিপন। তবে সাগর নামে আরেক সোর্সের ঠিকানা জানা যায়নি।
অভিযুক্তরা হলেন- একই এলাকার দেলোয়ার হোসেনের ছেলে সৈকত এবং আব্দুর রব।
পাথরঘাটা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শাহ আলম হাওলাদার জানান, পাথরঘাটা উপজেলার মুন্সিরহাট বাজার এলাকার জাকারিয়ার চায়ের দোকানে মাদক বিকিকিনি হচ্ছে- এমন সংবাদের ভিত্তিতে ওই এলাকায় অভিযান পরিচালনা করেন বরগুনা জেলা গোয়েন্দা পুলিশের সদস্যরা। এ সময় সৈকত নামের এক যুবককে সন্দেহ হলে তাকে তল্লাশী করা হয় এবং তার পকেটে ইয়াবা ট্যাবলেট পাওয়া যায়। এক পর্যায়ে সৈকত আত্মরক্ষার্থে পকেট থেকে ছুরি বের করে পুলিশ সদস্যদের ওপর এলোপাতাড়িভাবে আঘাত করে পালিয়ে যায়।
এসময় ডিবি পুলিশের অন্য সদস্যরা তাদের উদ্ধার করে পাথরঘাটা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যায়। তবে অবস্থার অবনতি দেখে দায়িত্বরত চিকিৎসক উন্নত চিকিৎসার জন্য তাদের বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালে পাঠিয়ে দেন।
পাথরঘাটা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে দায়িত্বরত চিকিৎসক রিমা আক্তার বলেন, আহতদের মধ্যে রিপনের অবস্থা আশঙ্কাজনক, তাই তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য বরিশালে পাঠানো হয়েছে।
এদিকে ঘটনাস্থলে পুলিশের অভিযান চলছে। এর আগেও অভিযুক্ত সৈকত মাদকসহ একাধিকবার আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর হাতে গ্রেফতার হন। তার বিরুদ্ধে মাদক, ইভটিজিংসহ একাধিক মামলা রয়েছে বলেও জানান ওসি শাহ আলম হাওলাদার।
এ বিষয়ে বরগুনা জেলা গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) পরিদর্শক (ওসি) মো. শহিদুল ইসলাম বলেন, মাদক বিরোধী অভিযানের সময় মাদক কারবারি সৈকত পুলিশ সদস্যদের ওপর হামলা চালায়। আমরা সরেজমিন পরিদর্শনে আসছি। আহতদের মধ্যে রিপনের অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় তাকে বরিশাল শেবাচিমে পাঠানো হয়েছে।