নগর সংবাদ।। বরগুনায় প্রতিপক্ষকে ফাঁসাতে ধর্ষণ মামলার আসামি ও বাদীকে কারাগারে পাঠিয়েছেন জেলা নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল। মঙ্গলবার (২৬ অক্টোবর) দুপুরে ট্রাইব্যুনালের বিচারক হাফিজুর রহমান এ আদেশ দেন।
বাদী ওই নারী ছাড়াও আরেক আসামি হলেন-বরগুনা সদর উপজেলার পদ্মা গ্রামের আবদুল গনি হাওলাদারের ছেলে ছগির হোসেন (৪২)।
আদালত সূত্রে জানা যায়, ছগির পেশায় একজন আইনজীবীর সহকারী। ওই নারী (৩৫) আদালতে পাড়ায় আসা যাওয়ার সুবাদে ছগিরের সঙ্গে পরিচয় হয়। এক পর্যায়ে ছগির তার প্রতিপক্ষ জাহিদ নামের একজনের বিরুদ্ধে ধর্ষণ মামলা দিয়ে তাকে ১০ লাখ টাকা আদায়ের লোভ দেখান। এ মামলায় তিনি ওই নারীকে বাদী হতে বলেন। কিন্তু ওই নারী রাজি হচ্ছিলেন না। পরে তাকে ২০ হাজার টাকা ও একটি মোবাইল ফোন দেওয়ার কথা বললে তিনি মামলার বাদী হতে রাজি হয়ে যান।
চলতি বছরের ২৩ মার্চ ওই নারী ছগিরের সঙ্গে দেখা করতে আসেন। ছগির তাকে বলেন ধর্ষণ মামলা করতে হলে ধর্ষণের আলামত দরকার। এ কথা বলে তিনি ওই নারীকে ধর্ষণ করেন। পরে ওই নারী থানায় গিয়ে জাহিদের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা করতে গেলে পুলিশের জেরার মুখে পড়েন এবং সব ঘটনা স্বীকার করেন। পরে ওই নারী ছগিরকে আসামি করে মামলা করেন এবং পুলিশ ছগিরকে গ্রেফতার করে।
ওই নারী মঙ্গলবার (২৬ অক্টোবর) নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালে ছগিরের বিরুদ্ধে করা মামলা প্রত্যাহারের আবেদন করেন। বিচারক বিস্তারিত শুনে বাদী ওই নারী এবং ছগিরকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।
আদালতের সরকারি কৌঁসুলি (পিপি) মোস্তাফিজুর রহমান বাবুল বলেন, মামলার বাদী ওই নারী আমার চেম্বারে এসে বলেন আমরা আপস করেছি। আমি মামলা চালাতে চাই না। আমরা সম্পর্কে খালাতো ভাই-বোন। পরে তার কথামতো আমি আদালতে মামলা প্রত্যাহারের আবেদন করেছি। এর বেশি কিছু আমি জানি না।