রিপোর্টার, কলকাতা থেকে শম্পা দাস ও সমরেশ রায়।।বরানগরে বিশ্বাস বাড়ীর পুজো ১২ তম বর্ষে পদার্পণ করল শ্রেয়ানসী
এবং শ্রেয়ান ছোট্ট দুটি স্কুল পড়ুয়া ও বোনের উদ্যোগে, বরানগর ময়রাডাঙ্গা রোডের সংযোগস্থলে , প্রতিবছর চিরাচরিত মেনে এই বাগ দেবীর আরাধনায় মেতে উঠেন বিশ্বাস বাড়ির পুজো, শুধু তাই নয় তিন দিন ধরে চলে বিভিন্ন রকম অনুষ্ঠান এবং বন্ধু-বান্ধব ও আত্মীয়-স্বজনদের নিয়ে একত্রিত হয়ে চলে হই হুল্লোড় খাওয়া-দাওয়া আর গান বাজনা, যদিও বিশ্বাস বাড়ীর পুজো বারো বছর পড়লেও, এই পুজো চলে আসছে বহু বছর ধরে।, কিন্তু এই এই ১২ বছর আস্তে আস্তে আরো বড় করার চেষ্টা করেছেন সকলকে সহযোগিতায় , কিন্তু এই বিশ্বাস বাড়ি পুজো যে এত নিষ্ঠা ধরে করেন সেটা আমাদের ক্যামেরায় বন্দি হলো, অন্যান্য কোন জায়গার পুজোর থেকে আলাদা চক্ষুদান থেকে শুরু করে ভোগ রান্না, এবং সেই ভোগ শঙ্কর ধ্বনি দিয়ে মা সরস্বতীর কাছে আনা সচরাচর দেখা যায় না, এবং নিয়ম অনুপাতে কোন কিছুই বাদ দেননি, হোম যজ্ঞ আরতি সবকিছুর মধ্য দিয়েই বাঘ দেবীর পূজা শেষ করলেন, পুজো শেষে সকলকে ভোগ বিতরণ করলেন এবং খাওয়ার আয়োজনও করেছেন, পুজোর কর্মকর্তাদের কাছে জানা গেল আগামীকাল অর্থাৎ ২৫ শে জানুয়ারীএই পুজো শুভ সূচনা করেন বরানগর পৌরসভার পৌর মাতা শ্রীমতি অপর্ণা মৌলিক মহাশয়া এবং উপস্থিত ছিলেন অন্যান্য অতিথিবৃন্দ।, এই পুজো যিনি বাড়ির গৃহকর্তা তিনি এতদিন করে এসেছিলেন পরবর্তীতে তাহার মেয়ে জামাই এর উপর দায়িত্ব দেন ,কিন্তু করোনার পর তারা স্থির করেন, তার দুটি ছেলে মেয়ের উপর দায়িত্ব দিয়ে দেন, যাদের উদ্যোগে এই বাগদেবীর পুজো আজ সম্পূর্ণ হলো ,তারা হলেন শ্রেয়ানসী ও শ্রেয়ান, দুটি বছর করোনাতে যেভাবে ছোট ছোট ছেলেমেয়েরা এবং সকল পরিবারের লোকজনেরা ঘরবন্দী হয়ে পড়েছিল , আনন্দ বলতে ভুলে গিয়েছিল, রাস্তায় বেরোনো বন্ধ হয়ে গিয়েছিল, তাই আমরা সিদ্ধান্ত নিয়েছি এদের মাধ্যমে ছোট ছোট ছেলে মেয়েরা এই তিনটে দিন আনন্দ করুক, পুজোয় মেতে থাকুক এবং হই হুলোর করুক , , তাই তারা প্রতিবছরের ন্যায় ছোট ছোট ছেলেমেয়েদের জন্য বিভিন্ন অনুষ্ঠান রেখেছেন এবং তাদের হাতে প্রাইজ তুলে দেন, শুধু তাই নয় এই ভাবেই তারা বারোটি বছর অতিক্রম করলেন, এবং বলেন আমরা কোন আলাদা কেউ নয় ,সবাই আমরা এক পরিবারের মানুষ ,এক পরিবারের লোকজন, তাই আজ এত বড় পূজো করতে পেরেছি এবং এবারে আমরা দু দুটো পুরস্কার ছিনিয়ে নিয়েছি।, সবাই যেন সুস্থ থাকে এই কামনায় করলেন, ।