২৯শে ডিসেম্বর ঠিক বিকেল পাঁচটায়, মোহিত মিত্র মঞ্চে , সৌগত ভট্টাচার্য্য এবং রূপা ভট্টাচার্য্য এর পরিচালনায়, বরানগর এনডিডিএ ছন্নছাড়া নাট্যগোষ্ঠীর ৮তম বার্ষিক দিবস পালিত হল। এই অনুষ্ঠানের শুভ সূচনা হয় সকলে একত্রিতভাবে প্রদীপ প্রজ্জ্বলনের মধ্য দিয়ে,
এবং প্রদীপ প্রজ্জ্বলনের পর মঞ্চে উপস্থিত অতিথিদের উত্তরীয় পরিয়ে এবং পুষ্পস্তবক দিয়ে সম্মানিত করেন। এই অনুষ্ঠানটিকে সম্পূর্ণভাবে সহযোগিতা করেছেন নৃত্যাঙ্গন ড্যান্স এন্ড ড্রামা একাডেমি।
জাহাদের সহযোগিতায় এই অনুষ্ঠান সুন্দরময় হয়ে উঠেছিল। মঞ্চে উপস্থিত ছিলেন বরানগর পৌরসভার ১৩ নম্বর ওয়ার্ডের পৌর মাতা এবং ড্যান্স একাডেমী সভাপতি মাননীয়া শ্রীমতি ডালিয়া মুখার্জি, বেঙ্গলী ফিল্ম ফটোগ্রাফার মাননীয় অসীম ঘোষ, বেঙ্গলী ফিল্ম ডিরেক্টার সমর রায়,
নাট্য জগতের বিশিষ্ট নাট্যবিদ শ্রী আশীষ চক্রবর্তী, নাট্য শিক্ষার শিক্ষাগুরু গৌতম রায় চৌধুরী, ছন্নছাড়া নাট্যগোষ্ঠীর কর্ণধার সৌগত ভট্টাচার্য্য, নৃত্যাঙ্গন ড্যান্স এন্ড ড্রামা একাডেমির নৃত্য শিক্ষিকা রুপা ভট্টাচার্য্য, নৃত্যাঙ্গন ড্যান্স এন্ড ড্রামা একাডেমির মেম্বার সঞ্চারী সাহা সহ অন্যান্যরা। আজকের এই ৮তম বার্ষিক দিবসে, বিভিন্ন অনুষ্ঠানের আয়োজন করেন,
এবং ছাত্র-ছাত্রীদের জন্য নৃত্য নাটক এর মধ্য দিয়ে একটি কম্পিটিশন রাখেন। যেখানে বিচারকদের বিচারে প্রথম দ্বিতীয় ও তৃতীয় স্থানাধিকারী কে বেছে নেন এবং তাদের হাতে পুরস্কার প্রদান করেন।
ছাত্র-ছাত্রীদের নৃত্য ও নাটক সকলকে আনন্দিত করেছে, প্রায় ২০০ জনেরও বেশি ছাত্র-ছাত্রী এই অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ করেছিলেন, বিশিষ্ট স্বনামধন্য বিচারকদের বিচারে প্রথম দ্বিতীয় তৃতীয় স্থানাধিকারী কে বেছে নেন। মঞ্চে আলোকিত করে রেখেছিলেন সকল ছাত্র-ছাত্রী অভিভাবকেরা এবং অন্যান্য আমন্ত্রিত অতিথিবৃন্দরা,
অনুষ্ঠান চলে বিকেল পাঁচটা থেকে রাত্রি নটা পর্যন্ত। চলে পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠান। সংক্ষিপ্ত বক্তব্যের মধ্য দিয়ে, বিচারকেরা এবং কর্ণধারেরা জানান, সকলের সহযোগিতা ছাড়া অনুষ্ঠান করা সম্ভব নয়,
এবং একটা কথা সকলের মনে রাখা দরকার, সম্মানটা বড় কথা নয়, অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ করাটায় আসল কাজ,
নিজেদের কে সবার সামনে তুলে ধরা, এবং তাহার বাবা মায়েদের আগ্রহ ছেলে মেয়েদের প্রতি এটাই সবার আগে দরকার, যেভাবে ছেলে মেয়েদের সাথে বাবা-মায়েরা উপস্থিত হয়েছেন।
এবং ছেলে মেয়েদের উৎসাহিত করায় অভিভাবকদের প্রধান লক্ষ্য। পড়াশুনার ফাঁকে, ছেলে মেয়েরা যাতে তাদের আরো কিছু প্রতিভা সবার সামনে তুলে ধরতে পারে , শেখার সুযোগ করে দিতে পারি,
সেদিকে নজর দেওয়া দরকার, আমরা আজ গর্বিত সবাইকে কাছে পেয়ে, এবং সবাই একসাথে হতে পেরে, আমাদের চলার পথ আরো একধাপ এগিয়ে দিল ৮তম দিবসে।