বরিশাল প্রতিনিধি।।
বরিশাল প্রতিবছরের মতো এবারও উপমহাদেশের সবচেয়ে বড় শ্মশান দীপাবলি উৎসব উদযাপিত হয়েছে। রোববার (১৯ অক্টোবর) সন্ধ্যা থেকে হাজারো মানুষ এই শ্মশান দীপাবলি উৎসবে অংশ নেন। উৎসব চলবে রাত ১০টা পর্যন্ত।
জানা গেছে, প্রায় ২০০ বছরের প্রাচীন এই শ্মশান দীপাবলি উৎসবে আগতরা তাদের স্বজনদের সমাধিতে মোমবাতি, প্রদীপ, ধূপ কাঠি প্রজ্বালন করেন এবং সমাধিতে প্রিয়জনের প্রিয় খাবার রেখে আসেন।
উৎসবে অংশগ্রহণকারীরা জানান, ধর্মীয় ভাবগাম্ভীর্যের মধ্য দিয়ে প্রতিবছর কালীপূজার আগের দিন ভূত চতুর্দশী ও পুণ্য তিথিতে এই আয়োজন বরিশালে সনাতন ধর্মালম্বীদের অন্যতম প্রধান উৎসব বলে বিবেচিত।
নগরীর কাউনিয়ার মহাশ্মশানে স্বজনদের সমাধিতে শ্রদ্ধা জানাতে আসা স্মৃতি রানী বলেন, বাবার স্মৃতির উদ্দেশে প্রতি বছর দীপাবলিতে তিনি মহাশ্মশানে যান। এ সময় বাবার পছন্দের সব খাবার সমাধিতে রেখে আসেন।
সমাধিতে শ্রদ্ধা জানাতে ঢাকা থেকে আসা রুপক শীল জানান, ছোট বেলায় তিনি তার বাবাকে হারিয়েছেন, সেই থেকেই তার সমাধিতে ফুল দিতে আসেন তিনি। তাছাড়া এখানে আসলে পুরানো অনেক আত্মীয় স্বজনের সঙ্গে তার দেখা হয়।
বরিশাল মহাশ্মশান রক্ষা কমিটির উপদেষ্টা রাখাল চন্দ্র দে জানান, বরিশাল নগরের কাউনিয়ায় মহাশ্মশানটি প্রায় ২০০ বছর আগে ৫ একর ৯৬ শতাংশ জমির ওপর প্রতিষ্ঠিত হয়। নতুন পুরানো মিলিয়ে মহাশ্মশানে ৬০ হাজারেরও বেশি সমাধি রয়েছে। এর মধ্যে ৫০ হাজারের অধিক পাকা ও ১০ হাজার কাঁচা মঠ রয়েছে। এছাড়া ৯০০ মঠ রয়েছে যাদের স্বজনরা এই দেশে নেই, সেসব মঠ এবার গোলাপী রং করা হয়েছে। স্বজন না থাকা মঠগুলোতে কমিটির পক্ষ থেকে প্রতিবছর শ্মশান দিপালীতে মোমবাতি প্রজ্বলন করা হয়ে থাকে।
বলেন, কালীপূজার আগের দিন ভূত চতুর্দশীর পুণ্য তিথিতে প্রতিবছর সনাতন ধর্মাবলম্বীরা তাদের