আগামী বছরের প্রথম থেকে বাংলাদেশি নাগরিকদের ভ্রমণে ই-ভিসা দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে থাইল্যান্ড। ই-ভিসা চালু হলে বাংলাদেশি পাসপোর্টধারীরা অনলাইনের মাধ্যমে ঘরে বসে থাইল্যান্ডের ভিসা নিতে পারবেন।
থাই পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের কনস্যুলার শাখার মহাপরিচালক রাষ্ট্রদূত হ্বরায়ূত পংপ্রাপান্ত বৃহস্পতিবার (২৪ অক্টোবর) ব্যাংককে বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত ফাইয়াজ মুরশিদ কাজীর নেতৃত্বে বাংলাদেশ দূতাবাসের প্রতিনিধি দলের সঙ্গে বৈঠককালে এ কথা জানান।
এরইমধ্যে দেশটি তাদের ৬৯টি দূতাবাসের মাধ্যমে এ সুবিধা দেওয়া শুরু করেছে। কনস্যুলার শাখার মহাপরিচালক হ্বরায়ূত পংপ্রাপান্ত বলেন, আগামী ১৯ ডিসেম্বর থেকে দুই দেশের সরকারি পাসপোর্টধারীদের জন্য ভিসা অব্যাহতি সুবিধা চালু করা হবে।
গত এপ্রিলে ব্যাংককে স্বাক্ষরিত এ-সংক্রান্ত চুক্তি আগামী ১৯ ডিসেম্বর থেকে কার্যকর হবে। কূটনৈতিক পাসপোর্টধারীদের জন্য ভিসা অব্যাহতি ২০১৮ সাল থেকে কার্যকর রয়েছে।
কনস্যুলার শাখার মহাপরিচালক থাইল্যান্ডে চিকিৎসা নেওয়ার জন্য আগ্রহী বাংলাদেশি পাসপোর্টধারীদের ঢাকা থেকে ভিসা নেওয়ার সময় ডেসটিনেশন থাইল্যান্ড ভিসা (ডিটিভি) নেওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন। পরিচর্যাকারীর ভিসাসহ এ ভিসা পাঁচ বছর মেয়াদি এবং প্রতি ভ্রমণ ছয় মাস মেয়াদি। এক্ষেত্রে থাই ইমিগ্রেশন কর্তৃক বাংলাদেশ দূতাবাস ব্যাংককের সুপারিশপত্র প্রয়োজন হবে না বলে মহাপরিচালক উল্লেখ করেন।
রাষ্ট্রদূত হ্বরায়ূত পংপ্রাপান্ত জানান, ভিসা আবেদনের ক্ষেত্রে বাংলাদেশে আবেদনকারীদের মধ্যে নকল বা মিথ্যা ডকুমেন্ট জমা দেওয়ার প্রবণতা লক্ষ্য করা গেছে। এক্ষেত্রে তিনি আবেদনকারীদের সতর্ক হওয়ার পরামর্শ দেন। যদি তারা কোনো এজেন্টের মাধ্যমে ভিসা আবেদন করেন, সেক্ষেত্রে এজেন্ট সঠিক ডকুমেন্ট জমা দিচ্ছে কি না তা খেয়াল রাখার অনুরোধ জানানো হয়েছে।
এ ধরনের প্রবণতা বজায় থাকলে থাই কর্তৃপক্ষ সংশ্লিষ্ট আবেদনকারীদের কালো তালিকাভুক্ত করতে বাধ্য হবে বলেও জানান তিনি।