ঢাকা প্রতিনিধি।।
বৃহস্পতিবার (৫ ডিসেম্বর) ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে দেশের ধর্মীয় নেতাদের সঙ্গে বৈঠকে সমাপনী বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।
ড. ইউনূস বলেন, আমরা সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির কথা বলছি। আমরা সবাই একমত যে আমাদের মধ্যে সম্প্রীতি আছে। আমি সম্প্রীতির সঙ্গে একটি জিনিস যোগ করতে চাই- তা হলো ভয়। সম্প্রীতির পাশাপাশি আমাদের মনে ভয়ও রয়েছে।
তিনি বলেন, আমরা ভয়ে ভীত নাগরিক নই। আমরা নির্ভীক নাগরিক। এমন পরিবেশ তৈরি করা হবে, যেন মানুষের মধ্যে কোনো ভয় না থাকে।
বাংলাদেশের পুনর্জন্ম সম্পর্কে তিনি এমন একটি বাংলাদেশ গড়ার ওপর জোর দেন, যেখানে একজন নাগরিক অন্য নাগরিককে ভয় পাবে না।
ড. ইউনূস সব নাগরিককে কাঠামোগত পরিবর্তন না করে, ক্রোধ ও ভয় থেকে মুক্ত হয়ে একটি সহনশীল বাংলাদেশ গড়ে তোলার পরামর্শ দেন, যেখানে কোনো অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটবে না বা এমন কোনো ঘটনা ঘটলেও তা সমাধান করা যাবে।
তিনি বলেন, আমরা যদি এমন একটি দেশ গড়ে তুলতে পারি, তাহলে এটি একটি সফল দেশ হবে। আমরা এর জন্য অপেক্ষা করছি। আল্লাহ আমাদের এমন একটি স্বপ্ন দেখার এবং তাতে অগ্রসর হওয়ার সুযোগ করে দিয়েছেন। এ ব্যাপারে আপনাদের সহযোগিতা কামনা করছি এবং এটা সম্ভব।
প্রধান উপদেষ্টা বলেন, বাংলাদেশের মানুষ শান্তিতে বসবাস করছে, কিন্তু কোনো ঘটনা ঘটলে জনগণকে তা ক্ষুব্ধ করে তুলতে পারে। এটি প্রশমিত করা উচিত। আমাদের অবশ্যই ক্ষোভ প্রশমিত করতে হবে, যেন এটি আবার অন্য ঘটনার কারণ না ঘটায়।
ড. ইউনূস বলেন, দেশের জনগণ একটি রাজনৈতিক শক্তিকে ক্ষমতাচ্যুত করেছে, কিন্তু তারা নিষ্ক্রিয় হয়ে বসে নেই বরং তারা দেশ-বিদেশে উসকানি দিচ্ছে। ক্ষমতাচ্যুত গোষ্ঠী এমনভাবে প্ররোচনা দিচ্ছে, যেটাকে আপাতদৃষ্টিতে কোনো উসকানি বলে মনে হয় না উল্লেখ করে তিনি এসব উসকানিতে সাড়া না দিতে সবার প্রতি অনুরোধ জানান।
দেশের বাইরের কারণেও উসকানি তৈরি হচ্ছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, জনগণ যেন এর শিকার না হয়, তাই তাদের কীভাবে উসকানি মোকাবিলা করতে হয় তা শিখতে হবে। উসকানির কারণে বাংলাদেশ বারবার আঘাতপ্রাপ্ত হচ্ছে- ব্যক্তিগতভাবে নয়, রাষ্ট্রীয় পর্যায়ে। এটি মোকাবিলার প্রয়োজনীয়তার ওপর জোর দেন প্রধান উপদেষ্টা।