মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন বাংলাদেশের স্বাধীনতা দিবসে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও জনগণকে শুভেচ্ছা জানিয়ে বলেছেন, বাংলাদেশ স্বাধীনতা ও মুক্তির মূল্য গভীরভাবে বোঝে, কারণ তারা ১৯৭১ সালে নিজেদের ভাগ্য নিজেরা নির্ধারণ করতে সাহসিকতার সঙ্গে লড়াই করেছে।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে লেখা এক চিঠিতে মার্কিন প্রেসিডেন্ট বলেন, যুক্তরাষ্ট্রের পক্ষ থেকে আমি আপনাকে (শেখ হাসিনা) এবং বাংলাদেশের জনগণকে স্বাধীনতা দিবসের শুভেচ্ছা জানাই।
ঢাকাস্থ মার্কিন দূতাবাস আজ চিঠিটি শেয়ার করেছে, যেখানে বাইডেন বলেছেন, ৫০ বছরেরও বেশি সময়ের কূটনৈতিক সম্পর্কে যুক্তরাষ্ট্র ও বাংলাদেশ একসাথে অনেক কিছু অর্জন করেছে।
বাইডেন লিখেছেন, গত অর্ধ শতাব্দীর দ্বিপক্ষীয় সম্পর্কের ফলে অর্থনৈতিক উন্নয়নে অগ্রগতি, জনগণের মধ্যে সম্পর্ক জোরদার, বৈশ্বিক স্বাস্থ্য ও জলবায়ু সমস্যা মোকাবিলা, রোহিঙ্গা শরণার্থীদের মানবিক সহায়তায় অংশীদারত্ব এবং একটি সমৃদ্ধ, নিরাপদ, গণতান্ত্রিক ও স্বাধীন বাংলাদেশ গড়ার অঙ্গীকার অর্জিত হয়েছে।
মার্কিন প্রেসিডেন্ট বাইডেন প্রায় ১০ লাখ রোহিঙ্গা শরণার্থীর জন্য সীমান্ত উন্মুক্ত করে তাদের স্বাগত জানানোয়, বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীর ভূয়সী প্রশংসা করে বলেন, আপনি বাস্তবে বিশ্বের জন্য সহানুভূতি ও উদারতার উদাহরণ স্থাপন করেছেন। আমরা রোহিঙ্গা শরণার্থী সংকটের দীর্ঘমেয়াদি সমাধান খুঁজে বের করার এবং নৃশংসতার জন্য দায়ী অপরাধীদের জবাবদিহিতার সম্মুখীন করার অঙ্গীকারে অংশীদার।
তিনি শান্তিরক্ষা কার্যক্রমে সবচেয়ে বড় অবদানকারী হিসেবে সবচেয়ে ঝুঁকিপূর্ণদের রক্ষায় বাংলাদেশের প্রদর্শিত অঙ্গীকারের প্রশংসা করেন।
বাইডেন বলেন, আমরা গ্লোবাল অ্যাকশন প্ল্যানমন্ত্রী পর্যায়ের বৈঠকের সহ-আয়োজনের জন্য বাংলাদেশকে ধন্যবাদ জানাই, যা বৈশ্বিক মহামারি অবসানে রাজনৈতিক অঙ্গীকারকে উল্লেখযোগ্যভাবে উন্নীত করেছে।
মার্কিন প্রেসিডেন্ট বলেন, বাংলাদেশ যখন তার পরবর্তী নির্বাচনের কাছাকাছি আসছে, তখন আমি আমাদের উভয় দেশের জনগণ গণতন্ত্র ও সাম্যের বিষয়ে যে গভীর মূল্যবোধ পোষণ করে এবং মানবাধিকার, অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচনের প্রতি যে সম্মান প্রদর্শন করে, তা স্মরণ করছি।
তিনি বলেন, (স্বাধীনতা দিবস) উদযাপনের দিনে দয়া করে আপনার এবং বাংলাদেশের জনগণের প্রতি আমার আন্তরিক শুভেচ্ছা গ্রহণ করুন। জয় বাংলা।