ফেনীতে বাবাকে হত্যার ঘটনায় ৩৩ বছর পর আসামি ছেলে জসিম উদ্দিন জামিন চাইতে এলেন আদালতে। আর তাকে জামিন না দিয়ে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দিলেন আদালত।
বুধবার (১৯ জুলাই) যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত ওই ছেলে ফেনী জেলা ও দায়রা জজ এএসএম রুহুল ইমরানের আদালতে উপস্থিত হয়ে জামিন আবেদন করেন।
পরে আদালত শুনানি শেষে তাকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।
এ বিষয়ে আসামিপক্ষের আইনজীবী মো. শহীদুল ইসলাম ভূঞা সেলিম বলেন, জসিম উদ্দিন তার বাবার হত্যার ঘটনায় জড়িত ছিলেন না। কিন্তু তার সৎ মা তাকে এ মামলায় জড়িয়ে জীবন শেষ করে দিয়েছে। আমরা তার সাজার বিরুদ্ধে আপিল করব। নিশ্চয়ই তিনি এ মামলায় খালাস পাবেন।
আদালত সূত্রে জানা যায়, ১৯৮৯ সালের ১৮ জুন ফেনী সদর উপজেলার বালিগাঁও ইউনিয়নের মরুয়ার চর গ্রামের খায়েজ আহাম্মদের ঘরে হানা দেয় দুর্বৃত্তরা। এসময়ে দুর্বৃত্তের ধারালো অস্ত্রের আঘাতে খায়েজ আহাম্মদ গুরুতর জখম হয়। তাৎক্ষণিক তাকে উদ্ধার করে ফেনী সদর হাসপাতালে নিয়ে এলে দায়িত্বরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।
এ ঘটনায় দায়ের করা মামলায় জসিম উদ্দিনসহ ৪ জনকে আসামি করে তার সৎ মাতা৷ মামলার পর জসিম উদ্দিন আত্মগোপনে চলে যায়।
পরে ১৯৯১ সালের ২ নভেম্বর এ মামলায় আদালত জসিম উদ্দিনের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড ঘোষণা করেন। দীর্ঘদিন প্রবাস জীবনে পলাতক থাকার পর বুধবার জসিম আদালতে হাজির হয়ে জামিন আবেদন করলে আদালত তাকে জেল হাজতে পাঠানোর নির্দেশ দেন৷